ভাস্কর নভেরা মারা গেছেন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রধান স্থপতির অন্যতম সহ‌যোগী ভাস্কর ন‌ভেরা আহমেদ মারা গে‌ছেন। বুধবার ৭৬ বছর বয়সে ফ্রান্সের রাজধানী প্যা‌রি‌সে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ ক‌রেন তিনি। ২০১০ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তিনি প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন। হুইলচেয়ারে বসেই চলাফেরা ও কাজকর্ম করতেন ন‌ভেরা।

দীর্ঘ সময় তিনি প্যারিসে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন। এ সময় তাকে নিয়ে নানা আলোচনা ছিল। কেউ কেউ বলতেন, প্যারিসে নিঃসঙ্গ দিনযাপন করছেন, কেউ বলতেন বোধহয় বেঁচে নেই, আবার কেউ বা বলতেন বেঁচে আছেন; তবে অসুস্থ ও অনটনের মধ্যে।

এমন আলোচনার মধ্যেই ৪১ বছর পর গত বছরের ১৬ জানুয়ারিতে প্যারিসে নভেরার একটি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

১৯৩০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন নভেরা। পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের আসকারদিঘির উত্তরপাড়। কলকাতার লরেটা থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। দেশ বিভাগের পর পরিবারসহ কুমিল্লা চলে আসেন। এ সময় নভেরা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন।

১৯৫০ সালে নভেরা লগুনে ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা-ইন-ডিজাইনের মডেলিং ও স্কাল্পচার কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেখান থেকে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি ফ্লোরেন্সে যান এবং পাঁচ মাস সেখানে অবস্থান করে ভাস্কর ভেন্তুরিনো ভেন্তুরির কাছে ভাস্কর্য বিষয়ে আরও দীক্ষা নেন।

১৯৫৬ সালে নভেরা আহমেদ দেশে ফিরে আসেন। ৫৭-তে শিল্পী হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদ বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নক্শা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজে হাত দেন। ৬০ সালে তার প্রথম প্রদর্শনীর পর বিখ্যাত উর্দু কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের আমন্ত্রণে লাহোর যান। ১৯৬৯ সালে অল পাকিস্তান পেইন্টিং অ্যান্ড স্কাল্পচার প্রদর্শনীতে ভাস্কর্যে প্রথম পুরস্কার পান ন‌ভেরা আহ‌মেদ।

নভেরাপ্যারিসভাস্কর