ভারতে এখন পর্যন্ত ৩.৮১ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮০ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাতজনের শারীরিক অবস্থা এতই খারাপ যে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সাথে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে ভারতের সরকার।
গত শনিবার থেকে ভারতে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন ড্রাইভ। তিনদিন পরই এমন খবর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ তৈরি করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ৪০ বছরের কিছুটা বেশি বয়সী যে দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাদের দুইজনের বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। তাদের একজন মোহিপাল সিং (৪৬)। ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।
তবে এ বিষয়ে মোরাদাবাদ জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। এখন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পরই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অপরজন কর্ণাটকের বরালির ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক-পালমোনারি ফেলিওর। তিনি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই মারা যান। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজন দিল্লির। যদিও ইতোমধ্যে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন কর্ণাটকের দুইজন, উত্তরাখণ্ডের একজন এবং ছত্তিশগড়ের একজন রোগী।