ভারতের পর আইসিসিকে ইংল্যান্ডের ‘না’

আইসিসি চায় বাড়তি আরেকটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার এমন উদ্যোগে ভেটো দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এবার বোর্ডটি পাশে পাচ্ছে আরেক প্রভাবশালী দেশকে, আইসিসির প্রস্তাবে সরাসরি না করে দিয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

২০২৩-২০৩০ ক্রিকেট সূচিতে বাড়তি আরেকটি টুর্নামেন্ট অন্তর্ভুক্ত করে মোট আটটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি। এর মধ্যে ছেলেদের দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, মেয়েদের দুটি বিশ্বকাপ ও নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা জানায় সংস্থাটি। নতুন সূচি কার্যকর হলে ২০২৩ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত প্রতি বছরে একটি করে বড় টুর্নামেন্ট দেখার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

তবে নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে আইসিসির প্রস্তাবে না করে দিয়েছে বিসিসিআই। সম্ভাবনা আছে নতুন সেই সূচিতে স্বাক্ষর না করারও। একই কথা ইসিবিরও। আইসিসি প্রধান মনু শ্বনিকে দেয়া ই-মেইলে বোর্ডপ্রধান কলিন গ্রেভসের দাবি, নতুন সূচি হবে সাংঘর্ষিক। স্বাস্থ্যের হানি হবে ক্রিকেটারদের।

‘আইসিসির প্রস্তাবিত নতুন সূচি ইসিবির জন্য ভীষণ উদ্বেগের। প্রস্তাবিত এই সূচি সকল বোর্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে প্রভাব ফেলবে। ঝুঁকিতে পড়বে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো। কমে যাবে মূল্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।’

মূলত তিন কারণ দেখিয়ে না করছে ইসিবি। প্রথমত, ঝুঁকিতে পড়বে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত খেলায় চাপে পড়তে পারেন খেলোয়াড়। তাতে বাড়বে চোট। আর শেষ কারণটি হল, প্রতি বছর একটি করে আয়োজন থাকলে এর প্রভাব পড়বে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উপরও।

শুক্রবার ইসিবি প্রধানের ই-মেইল পাঠানোর একদিন আগে আইসিসির প্রস্তাবের বিপক্ষে আপত্তি তুলেছিল ‘তিন মোড়লের’ আরেক দেশ অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসের বক্তব্য ‘কিছু করতে হলে আগে অবশ্যই আলোচনায় বসতে হবে।’

আইসিসির বিপক্ষে তিন মোড়লের এভাবে বিপক্ষে দাঁড়ানো অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রস্তাবিত লভ্যাংশের বিশাল এক অংশ দাবি করে এর আগেও জোট বেঁধেছিল ক্রিকেটের তিন প্রভাবশালী বোর্ড। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করে এই তিন বোর্ডই।

আইসিসিইসিবিবিসিসিআইলিড স্পোর্টস