ভারতকেই ‘খুশি’ করছে আইসিসি

লভ্যাংশ নীতিতে শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় এসেছে আইসিসি এবং ভারত। বিসিসিআই নিজেদের চাহিদা মতো অর্থ না পেলেও যা পাচ্ছে তাতে তারা খুশি। বরং বাংলাদেশসহ অন্য পাঁচটি দেশের যা পাওয়ার কথা ছিল তার থেকে কম দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এপ্রিলে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আইসিসি থেকে আগে পেত ৭৬ মিলিয়ন, নতুন কাঠামো অনুযায়ী আসবে ১৩২ মিলিয়ন।’ কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ পাচ্ছে ১২৮ মিলিয়ন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিসিসিআইকে ৪০৫ মিলিয়ান মার্কিন ডলার দেয়া হবে। কিছুদিন আগে আইসিসি থেকে জানানো হয়েছিল ভারতকে দেয়া হবে ২৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ঘোষণা শুনে ভারত রীতিমতো যুদ্ধে নামে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের ঘোষণা দেয়। ভারতের চাপের মুখে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর জানান, ভারতকে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার বেশি দেয়া হবে। কিন্তু ভারত তাতেও আপত্তি জানায়। তাদের দাবি ছিল ৫৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!

এই পরিস্থিতিতে আইসিসি ভারতের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতের পরে বেশি টাকা পাবে ইংল্যান্ড, ১৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ পাবে ১২৮ মিলিয়ন করে। জিম্বাবুয়ে পাবে সবচেয়ে কম, ৯৪ মিলিয়ন।

ভারতীয় বোর্ডের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আইসিসির সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ভারতের আপত্তি নেই।

আইসিসি কিছুদিন ধরে ‘সমবণ্টন নীতি’র কথা বলে গলা ফাটাচ্ছিল। ভারত দাবি করে আসছিল, তাদের দিয়ে আইসিসি বেশি আয় করে, সুতারং তাদের প্রাপ্য বেশি। ভোটাভুটিতে ভারতের এই দাবি মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ভারত ঠিকই অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পাচ্ছে। মোট লাভের ২২.৮ শতাংশ যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়ার ঘরে। ইসিবি পাচ্ছে ৭.৮ শতাংশ। জিম্বাবুয়ে বাদে অন্যরা পাচ্ছে ৭.২ শতাংশ করে। জিম্বাবুয়ে পাচ্ছে ৫.৩ শতাংশ।

আইসিসিবাংলাদেশ