ব্রিটিশ আবহাওয়ায় বিরক্ত ক্লপ ছাড়তে পারেন লিভারপুল

চুক্তি নিয়ে তাড়াহুড়ো না থাকলেও ব্রিটিশ আবহাওয়া নিয়ে বেশ বিরক্ত লিভারপুল কোচ ইয়ূর্গেন ক্লপ। আগামীতে তার ইংল্যান্ড ছাড়ার পেছনে যদি কোনো কিছু বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে, সেটা এই আবহাওয়াই! এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন জার্মান কোচের এজেন্ট মার্ক কোসিচকি।

২০১৫ সালে কোচ হয়ে আসার পর লিভারপুলকে আমূল বদলে দিয়েছেন ক্লপ। তার হাত ধরেই হারানো জৌলুস ফিরে পেয়েছে অলরেডরা। জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। গত মৌসুমে মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হাতছাড়া হলেও এবার বেশ দারুণভাবেই ছুটে চলেছে দলটি। টানা ৫ ম্যাচ জিতে আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

এমন কোচকে মোটেও হাতছাড়া করতে রাজী নয় লিভারপুল। ক্লাবটির সমর্থকরাও চান প্রিয় ক্লাবকে যেন ছেড়ে না যান ৫২ বছর বয়সী কোচ। যদিও লিভারপুলের সঙ্গে ২০২২ পর্যন্ত চুক্তি আছে তার।

চুক্তি থাকার পরও ক্লপের সঙ্গে সেটা নবায়ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে লিভারপুল। কোচের এজেন্টকে তা জানিয়েও দেয়া হয়েছে। মক্কেলের সঙ্গে আলোচনায় কি আলাপ হল সেটাই গোল ডটকমকে জানিয়েছেন কোসিচকি।

‘ইয়ূর্গেনের সঙ্গে ক্লাবের ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। এটা সবাই জানে ক্লাব চায় চুক্তিটা বড় হোক।’

‘আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা অপেক্ষায় আছি। হয়তো দেখা যাবে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে জার্মানির চেয়ে ইংল্যান্ডের আবহাওয়াই বেশি ভালো হয়ে গেছে!’

কোসিচকির শেষ কথা যে খোঁচা সেটা না বোঝার কথা নয়। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার কুখ্যাতি বিশ্বজুড়েই সমালোচিত। সকালে উজ্জ্বল রোদের মাঝে হুট করে বৃষ্টি, একটু পর হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা। বাইরের বিশ্বের নাগরিকদের কাছে ব্রিটিশ আবহাওয়া যেন মূর্তিমান আতঙ্ক।

ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানির নাগরিক ক্লপকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে এই আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে। কোচের স্ত্রীরও নাকি পছন্দ নয় এ আবহাওয়া, ‘উল্লা( ক্লপের স্ত্রী) একদিন সকালে উঠে দেখে সারা আকাশ অন্ধকারে ঢেকে আছে। বিকেল বেলাতেও দেখে একই অবস্থা। এই অন্ধকার, এই ধূসর। আবার সঙ্গে বৃষ্টি!’

কোসিচকির দাবি প্রিমিয়ার লিগের সময়সূচিও নাকি পছন্দ নয় ক্লপের, ‘জার্মানিতে যখন শীতের সময় আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে তখন আমরা দুই সপ্তাহের ছুটিতে চলে যাই। ছুটি কাটিয়ে সূর্যের অপেক্ষায় থাকি, তারপর অনুশীলন শুরু করি।’

‘অথচ এই সময়টাতে ইংল্যান্ডে খেলোয়াড়দের ব্যস্ত থাকতে হয়। কখনো কখনো তাদের ১৩টা ম্যাচও খেলতে হয়। কোচেরা আগে থেকেই বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় কোচিং করানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।’

ইয়ুর্গেন ক্লপলিড স্পোর্টসলিভারপুল