ব্যালন ডি’অর উঁচিয়ে ধরলেন বেনজেমাই

মেয়েদের বর্ষসেরা অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস

৩৪ বছর বয়সে এসে ব্যালন ডি’অরের অপেক্ষা ঘুচল করিম বেনজেমার। ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবলে’র ২০২২ সালের বর্ষসেরা হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। দীর্ঘ দুই যুগ পর আবারও ফ্রান্সের কেউ জিতলেন এ সম্মান।

দীর্ঘ দুই যুগই, ২৪ বছর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফরাসিদের জয়ের নায়ক জিনেদিন জিদান সবশেষ ফ্রেঞ্চ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর উঁচিয়ে ধরেছিলেন। সর্বপ্রথম ফরাসি ফুটবলার হিসেবে ১৯৫৮ সালে ব্যালন ডি অ’র জিতেছিলেন রেমন্ড কোপা। পরে মিশেল প্লাতিনি টানা তিনবার (১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৫) ও জিন-পিয়েরে পাপিন (১৯৯১) একবার জেতেন।

রিয়াল জার্সিতে ২০২১-২২ মৌসুমজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল করিম বেনজেমার। লস ব্লাঙ্কোসদের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জিতিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের অপ্রতিদ্বন্দ্বী দাবিদার।

সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে জমকালো অনুষ্ঠানে এবারের বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০টি দেশের ১০০ সাংবাদিকের একটি দল ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে সেরা পাঁচজনকে নির্বাচিত করেন।

অন্যদিকে, প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুবার মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। বার্সেলোনা মিডফিল্ডার গত বছর ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠানো এবং লা লিগা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। হাঁটুর চোটে স্প্যানিশ তারকা অবশ্য ২০২২ ইউরোতে খেলতে পারেননি। গত মৌসুমে তার থেকে এসেছে ৩৪টি গোলও।

গত মৌসুমে রিয়ালকে সাফল্য এনে দেয়ার অন্যতম কারিগর বেনজেমা ৪৬ ম্যাচে ১৫ অ্যাসিস্টসহ করেছিলেন ৪৪ গোল। মাদ্রিদ জার্সিতে গড়ে ৬৬.৪২ মিনিটে একটি গোলে অবদান রেখেছিলেন।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত মৌসুমে দুই হ্যাটট্রিকসহ বেনজেমা করেন ১৫ গোল। শেষ ষোলোয় পিএসজির বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়া লস ব্লাঙ্কোসরা অবিশ্বাস্যভাবে ৩-১ গোলের জয় তোলে। ১৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে মোড় ঘুরিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার।

কোয়ার্টার ফাইনালেও ছিলেন রিয়ালের জয়ের নায়ক। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম লেগে তার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে চেলসিকে হারায় রিয়াল। ফিরতি লেগেও ব্লুজদের জালে একবার বল জড়ান বেনজেমা।

সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৩ গোল করে স্প্যানিশ জায়ান্টদের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ করেন বেনজেমা।

এসময়ে জাতীয় দল জার্সিতেও ছিলেন উজ্জ্বল। ১০ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। গত বছর উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর সমতাসূচক গোলটি করেছিলেন। পরে কাইলিয়ান এমবাপের গোলে শিরোপা জিতে নেয় ফ্রান্স।

যাদের হাতে পুরস্কার

বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়: করিম বেনজেমা
বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়: অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস

জার্ড ‍মুলার ট্রফি তথা সেরা স্ট্রাইকার: রবার্ট লেভান্ডোভস্কি
লেভ ইয়াসিন ট্রফি তথা সেরা গোলরক্ষক: থিবো কোর্ত্তয়া

কোপা ট্রফি তথা অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী সেরা খেলোয়াড়: গ্যাভি
বর্ষসেরা ক্লাব: ম্যানচেস্টার সিটি
সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড তথা দাতব্য কাজে সম্পৃক্ততা পুরস্কার: সাদিও মানে

ফ্রান্সবার্সাবেনজেমাব্যালন ডি”অররিয়াললিড স্পোর্টসস্পেন