বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন: বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র্যাগিং বন্ধ হবে।
উপাচার্য জানান: সরকার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।
আবরারর হত্যার বিচার দাবিসহ ১০ দফা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুয়েট উপাচার্যের বৈঠক শুরু হয় বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় দু’দফায় পরিচয়পত্র চেক শেষে শিক্ষার্থীরা অডিটোরিয়ামে ঢোকার অনুমতি পান।
এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আলটিমেটাম দেন যে, উপাচার্য যদি শুক্রবার বেলা ২টার মধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে বুয়েটের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে গতকালই উপাচার্যের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই বৈঠক।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে।
গত রোববার রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে তাকে নির্যাতন করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হল থেকেই তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।