বুলবুল আহমেদ চলে যাওয়ার দশ বছর

বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মহানায়ক’ খ্যাত বুলবুল আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (১৫ জুলাই)। ২০১০ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে বুলবুল আহমেদ তার কাজ দিয়ে মানুষের মনে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

প্রতিবছর বুলবুল আহমেদের মৃত্যুদিনটি যথাযথভাবে পালন করে তার পরিবার। তবে করোনার কারণে এবার তার মৃত্যুবার্ষিকী তেমন করে পালিত হচ্ছে না বলে জানান মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ।

তবে প্রয়াত গুণী এই অভিনেতার স্মৃতি ধরে রাখতে প্রতি বছর তার পরিবার ও বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যেভাবে প্রবীণ বরণীয় শিল্পীদের সম্মাননা দেওয়া হয়, এবারও হচ্ছে না তার ব্যতিক্রম। এ বছর ‘মহানায়ক বুলবুল আহমেদ স্মৃতি সম্মাননা ২০২০’ দেওয়া হচ্ছে প্রবীণ অভিনেত্রী মীরানা জামানকে।

ঐন্দ্রিলা বলেন, করোনার কারণে ফিজিক্যালি কিছু করতে পারছি না। তবে আমরা সবাই এদিন কিছু ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে বাবাকে স্মৃতিচারণ করব।

বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪১ সালে পুরান ঢাকায়। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষ করে একটি ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। চাকরির পাশাপাশি বুলবুল আহমেদ টিভিতে অভিনয় শুরু করেন।

বুলবুল আহমেদের অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘বরফ গলা নদী’। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকগুলো হলো- মালঞ্চ, বড়দিদি, আরেক ফাল্গুন, শেষ বিকেলের মেয়ে।

বুলবুল আহমেদ ১৯৭৩ সালে ‘ইয়ে করে বিয়ে’র মাধ্যমে প্রথম সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। তিনি চিরদিন শ্রদ্ধেয় হয়ে থাকবেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি দুই চরিত্র ‘শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’ এ দুর্দান্ত রূপদান করে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য অন্যান্য সিনেমা হলো- মহানায়ক, সীমানা পেরিয়ে, সূর্য্যকন্যা, জীবন নিয়ে জুয়া, রূপালী সৈকতে, বধূ বিদায়, জন্ম থেকে জ্বলছি, দুই নয়নের আলো।

মহানায়কলিড বিনোদনসীমানা পেরিয়ে