জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বিয়ে করতে যাচ্ছেন। পাত্র হারুন অর রশিদ অপু। পেশায় একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক। ফারিয়া ও অপুর দুই পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ তাদের বিয়ে হবে। তার আগে ২৬ জানুয়ারি হবে মেহেদি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিয়ের একদিন আগে হবে গায়ে হলুদ।
কয়েকদিন আগে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিজের বিয়ের খবর ও তারিখ জানিয়েছেন ‘দেবী’ ছবিতে নীলু চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পাওয়া এই অভিনেত্রী। শবনম ফারিয়া বলেন, আজ থেকে আরও দু-বছর আগে অপুর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় অপুর বাবা মারা যাওয়ার কারণে পিছিয়ে যায় বিয়ে। এক বছরের মাথায় আবার আমার বাবা মারা যান। এ কারণে দুই বছর পিছিয়ে যায় আমাদের বিয়ে। সবকিছু গুছিয়ে উঠে এখন বিয়ের চূড়ান্ত দিন ধার্য করা হয়েছে।
অপু এবং ফারিয়ার মধ্যে যে প্রেম ছিল সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘাঁটলে অনেকটা আঁচ পাওয়া যেত। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অপুর সঙ্গে ফারিয়া মাঝেমধ্যে ছবি দিতেন। শুধু তাই নয়, শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনেক আয়োজনেও দুজনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। সবসময় তাদের দুজনাকে হাসিখুশি ও প্রাণোচ্ছল দেখা যেত। সব সন্দেহ দূর করে অবশেষ অপু-ফারিয়ার চারহাত এক হতে যাচ্ছে।
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশিদ অপুর অঙ্গে শবনম ফারিয়ার বন্ধুত্ব হয়। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন মজবুত হয়। তিন বছর ধরে তাদের দুজনের বন্ধুত্ব। একটা সময় তারা দুজনেই পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেন। অপু-ফারিয়ার সম্পর্ক তাদের দুই পরিবার জানলে এতে পূর্ণ সমর্থন দেন। ফারিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তাদের একেবারে ঘরোয়াভাবে আঙটি বদল হয়ে গেছে।
টুকটাক মডেলিং করলেও ২০১৩ সালে শবনম ফারিয়া আদনান আল রাজীব পরিচালিত ‘অল টাইম দৌড়ের উপরে’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী আত্মপ্রকাশ করেন। সে বছর ভালোবাসা দিবসে প্রচারের পর রাতারাতি পরিচিতি পান ফারিয়া। এরপর অসংখ্য দর্শক সমাদৃত নাটকে দেখা গেছে ফারিয়াকে। কাজ করেছেন একাধিক বিজ্ঞাপনেও। চলতি বছর দেবী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন শবনম ফারিয়া।