বিশ্বের স্বাস্থ্যকর মানুষেরা জিমে যায় না

গবেষণা

নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট রাখতে যদি জিমে যাওয়ার কথা ভাবেন, তবে এটাই সময় আপনার ধারণা পরিবহার করার। কারণ, গবেষণা বলছে জিমে না যাওয়ার জন্য আপনার অনুশোচনায় বা অপরাধবোধে ভোগার কোনো কারণ নেই।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির এক সমীক্ষা বলছে, জিমে যাওয়ার পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহে ছয় ঘণ্টা হাঁটাচলা করলে একজন মানুষ বেশি সময় বাঁচার শক্তি পায়। অর্থাৎ অধিক সময় বাঁচতে সহায়তা করে।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল প্রকাশিত অন্য একটি প্রতিবেদন বলছে, হাঁটাচলা হৃদরোগের ঝুঁকি ৩১ শতাংশ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৩২ শতাংশ হ্রাস করে।।

প্রতি ঘণ্টায় কয়েক মিনিট হাঁটা বা দ্রুত হাঁটার জন্য এক ঘণ্টা উৎসর্গ করা জিমে যাওয়ার চেয়ে অধিকতর উত্তম। জিম এড়িয়ে চলার জন্য অপরাধবোধে ভোগার কারণ নেই।

অ্যালপা প্যাটেল, স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর সিপিএস-৩, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির যারা এই গবেষণার প্রধান তদন্তকারী ছিলেন তাদের মতে, গড়পড়তা হাঁটার চেয়ে দ্রুত হাঁটা লোকেরা অবিশ্বাস্য রকমের স্বাস্থ্য সুবিধা লাভ করেন। এটি সহজ, বিনামূল্যে এবং যেকোনো স্থানে চর্চা করা যায়।

কিন্তু আমাদের ৯টা থেকে ৫টার ব্যস্ত অফিস সময়সূচি, যেখান আমরা চেয়ারের সঙ্গে লেগে থাকি, আমাদের চোখ জুড়া যেখানে কম্পিউটারের পর্দায় আটকে থাকে, সেখানে আমরা দ্রুত হাঁটার সময় খুব কমই পাই।

এমন পরিস্থিতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার দুর্দান্ত উপায় হলো যে, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা, মেট্রোতে চলাচল করা, অন্য কাউকে নিজের সিট ছেড়ে দেওয়া এবং ক্যাব প্রাপ্তির স্টেশন পযন্ত হেঁটে যাওয়া।

গবেষকরা বলছেন, ফিট এবং স্বাস্থ্যকর থাকার উপায় কখনো ভারি কোনো যন্ত্রপাতি বহন করে ব্যস্ত থাকা হতে পারে না। আপনাকে চলমান থাকতে হবে। নাচুন, হাঁটুন, পোষ্য প্রাণীকে নিয়ে হাঁটুন, আপনার যেমনটা ভালো লাগে তেমনই করুন। কিন্তু  চলতে থাকুন।

সমীক্ষা আরও বলছে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটলে হৃদপিণ্ড ও রক্তপ্রবাহের ফিটনেস ভালো রাখে, হাড়কে শক্তিশালী রাখে, মেদ কমায়, সনহশীলতা ও পেশী শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হাড়ের ক্ষয়, কিছু কিছু ধরনের ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

জিমস্বাস্থ্য