২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব সাইট ভিয়াগোগোকে দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ভিয়াগোগোর বিরুদ্ধে উঠেছে চড়া দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ। বিশেষ করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচের টিকিটের দাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে সমর্থকদের!
ব্রোঞ্জ, সিলভার, গোল্ড ও প্লাটিনাম -এই চার শ্রেণিতে বিক্রি হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট। ২৫ জুন নির্ধারিত ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সিলভার শ্রেণির টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ১১৫ পাউন্ড। কিন্তু ভিয়াগোগোর সাইটে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেই ম্যাচের সিলভার শ্রেণির টিকিটের দাম ১২ হাজার ২৯ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ১৩ লাখ ৮ হাজার ৮২১ টাকা। অর্থাৎ, মূল দামের চেয়ে ১০৪ গুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে ভিয়াগোগো!
কেবল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াই নয়, স্বাগতিকদের সঙ্গে ভারত ম্যাচটির সিলভার টিকিটও একই দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে অন্যান্য দলগুলোর ম্যাচের টিকিটের দামও বেশ চড়া! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের গোল্ড শ্রেণির টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২৮০ পাউন্ড বা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬০৭ টাকায়। অথচ এই শ্রেণির টিকিটের আইসিসির করা নির্ধারিত দাম মাত্র ১৫০ পাউন্ড বা সাড়ে ১৬ হাজারের একটু বেশি!
নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করার দায়ে ভিয়াগোগোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছে আইসিসি। বিশ্বকাপ ব্যবস্থাপনা কমিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা, ‘আমাদের নিয়ম ও শর্ত ভাঙ্গার কারণে আমরা সাইটটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কাজ করছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় সকল আইনি ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।’
চড়া দামে টিকিটি বিক্রির বিষয়টি যদিও অস্বীকার করেছে ভিয়াগোগো। সাইটটির দাবি টিকিটের দাম নির্ধারণ করা তাদের কাজ নয়, তৃতীয় আরেকটি সংস্থার মাধ্যমে বিক্রি করাই তাদের দায়িত্ব, ‘ভিয়াগোগো টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে না, যারা বিক্রি করেন তারাই এর দাম ঠিক করে দেন। সেটা বেশিও হতে পারে, আবার কমও! কোন ম্যাচের টিকিটের চাহিদা থাকলে সেটার দাম বাড়াই স্বাভাবিক।’