বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংরক্ষণে যা করতে হবে

ভাষা আন্দোলন স্মরণে জাতীয় ও স্থানীয় উদ্যোগ

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাস্কর্য ও জাদুঘর। তবে, একুশে কেন্দ্রিক স্থাপনা কম বলে ভাষা আন্দোলনের গবেষকরা মনে করেন।

ভাষা শহীদদের স্মরণে সারাদেশে শহীদ মিনার রয়েছে কয়েক হাজার। এর বাইরে আছে অনেক সংগ্রহশালা, জাদুঘর।

এরকমই একটি রাজধানীর পলাশী মোড়ে নির্মিত শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি সংগ্রহশালা ও লাইব্রেরি। বিভিন্ন সময় বাবাকে লেখা বরকতের চিঠিগুলো নিয়ে আবেগে মোড়ানো এক স্মৃতি স্থাপনা এ সংগ্রহশালা।

ভাষা শহীদদের নিয়ে বাংলা একাডেমির দ্বিতীয় তলায় গড়ে উঠেছে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর। একাডেমি চত্বরে রয়েছে বাঙালির মনে চিরস্থায়ী শ্রদ্ধার স্থান করে নেওয়া পাঁচ ভাষা শহীদের আবক্ষ ভাস্কর্য ‘মোদের গরব’।

ভাষার জন্য সন্তানকে উৎসর্গ করা মায়ের আত্মত্যাগ ফুটে উঠেছে রাজধানীর পরীবাগে ‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা’ ভাস্কর্যটিতে।

একুশের চেতনাকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে ‘অমর একুশের্’।

ভাষা শহীদদের স্মৃতিরক্ষায় এরকম উদ্যোগ অনেক। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পারিল গ্রামটির নাম হয়েছে রফিক নগর। সেখানে রয়েছে শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ স্মৃতি জাদুঘর।

শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর আছে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। আর ভাষাশহীদ আবদুস সালামের নামে ফেনীর দাগনভুইয়া উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নামকরণ হয়েছে সালামনগর।

গবেষকরা বলছেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে স্থাপনা যেমন কম, তেমনি এসব স্থাপনা বেশিরভাগ সময় থাকে অযত্ন ও অবহেলায়।

তারা বলছেন, ভাষার দাবিতে জীবন উৎসর্গ করা বীরদের স্মরণে স্মৃতি ফলক কিংবা জাদুঘর যথাযথ সংরক্ষণের মাধ্যমে আরো বেশি রক্ষিত হবে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:

একুশভাষাভাষা শহীদভাষা সংগ্রামসেমি লিড