বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি

প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরটি এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। রাজস্ব দিয়েও ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

গত বছরের ডিসেম্বরেই চালু হয় বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর। ভারতীয় অংশে অবকাঠামো নির্মাণ হলেও বাংলাদেশ অংশের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ভারতের আসাম, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মেঘালয় রাজ্য থেকে স্বল্প সময় ও কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সুবিধা থাকায় বন্দরটি চালু করা হয়। কিন্তু বন্দরটি পুরোপুরি চালু না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

বন্দরে খেটে খাওয়া কুলি ও শ্রমিকরা বলেন, বন্দরে প্রথমে তারা কাজ করে বেশ ভালো টাকা আয় করতো। কিন্তু বন্দরটি পুরোপুরি চালু হয়নি অথচ সেখানে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে আসা শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আয় কমে গেছে সবার। পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকা এবং সোনাহাট রেলসেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

কুড়িগ্রামের কাস্টম এক্সসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার মোঃ শাকিল খন্দকার বলেন, এই বন্দরটি দিয়ে এবছরের মার্চ পর্যন্ত যে আমদানি রপ্তানি হয়েছে তাতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা।এই বন্দরটি দিয়ে এখন শুধু পাথর ও কয়লা আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু এখানে আরো আটটি পন্য আমদানি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।এর অবকাঠামোর বাকি কাজটি সম্পাদিত হলে সরকারের রাজস্ব অনেক বাড়বে।

বন্দরের প্রয়োজনীয় ভুমি অধিগ্রহণসহ অবকাঠামো নির্মাণে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক।

প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে বন্দরটিকে বাণিজ্য বান্ধব করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।

কুড়িগ্রামস্থলবন্দর