ফেসবুকে তর্কে জড়িয়ে যে ক্ষতি ডেকে আনছি

মতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই সহ্য হয় না। এমনকি ফেসবুকেও কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না আপনি। এইতো গত রাতেও এক বন্ধুকে ব্লক করে দিয়েছেন অনেক তর্কের পর। কমেন্টের পর কমেন্ট দিয়েও একমত হতে না পেরে রাগে আনফ্রেন্ড করে সরাসরি ব্লক। কিন্তু এখন একটু অনুশোচনা হচ্ছে এত বছরের বন্ধুত্ব নষ্ট করায়। দেখা হলে অপ্রস্তুত হওয়ার ভয়ও জেঁকে বসেছে মনে। ডেকে আনছি নানাবিধ ক্ষতিকর দিক।

ফেসবুকের কোনো পেজে কিংবা নিজের প্রোফাইলের কারও সঙ্গে অহরহ তর্কে জড়ানোর ঘটনা ঘটছে এভাবে। কিন্তু এরকম তর্কে জড়াতে নিষেধ করেছেন মনোবিদরা।

ইউসি বারকেলি এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর গবেষকদের করা একটি গবেষণা সাইকোলজিক্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। ৩০০ মানুষকে ফেসবুকের তর্ক পড়তে দেয়া হয়েছে, একটি তর্কের ভিডিও দেখতে দেয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ের তর্ক শুনতে বলা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, মৌখিক তর্কের চাইতে লিখিত তর্কগুলোকে অনেক বেশী অযৌক্তিক এবং হৃদয়হীন মনে হয়েছে।

কানাডানিয়ান স্কুল অব প্রোটোকল এন্ড এটিকুয়েট এর বিশেষজ্ঞ ওয়েন্ডি মেনকেল বলেন, বাস্তবের চাইতে ফেসবুকে বেশী রুঢ় আচরণ করেন মানুষ। কী লিখতে চাইছেন আর কী লিখছেন তার মাঝে বিস্তর ফারাক থাকে। তারা ভুলে যান যে তাদের কথায় মানুষের মনে আঘাত লাগতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বলার আগে বিবেচনা করে বলা উচিত।’

তাই বলে কি তর্ক করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। তবে কি-বোর্ডে ঝড় তুলে নয়, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন মুখোমুখি তর্ক করার। মুখোমুখি তর্ক অনেক বেশী যৌক্তিক হয়। তাছাড়া সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে। রিডার্স ডাইজেস্ট