কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড কিশোরী ফেলানী হত্যার ৮ বছর আজ। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ভারতের উচ্চ আদালতে গড়ালেও এখনও ন্যায় বিচার পায়নি তার পরিবার।
ন্যায় বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
এর আগে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে দু’দফায় বেকুসর খালাস দেয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালত।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে খুন হয় কিশোরী ফেলানী।
ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে সমালোচনার ঝড় তোলে। সেসময় বিজিবির দাবীর মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।
ফেলানীর বাবা দু’দফা বিএসএফ’র আদালতে স্বাক্ষী দিয়ে আসলেও ঐ বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। রায় পুনর্বিবেচনার বিজিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারে আবারও অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিশেষ আদালত।
বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্না ভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুম’র সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন নুরুল ইসলাম। এখন ন্যায় বিচারের তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে।
ফেলানীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা এখনও ভুলতে পারেননি তার স্বজনরা। বাবা নুরুল ইসলামের দাবি এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচারসহ সীমান্ত হত্যা বন্ধের।