লেস্টার থেকে কার্ডিফ। দূরত্ব খুব বেশি নয়। দুই ঘণ্টার বাস ভ্রমণ। পিকনিক মুডে বাংলাদেশ দল পাড়ি দিয়েছে সে পথ। বৃহস্পতিবার রাত (বাংলাদেশ সময়) থেকে টাইগাররা প্রবেশ করেছে বিশ্বকাপ অভিযানের আনুষ্ঠানিকতায়।
ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বিসিবির খরচে লেস্টারে চার দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রেস রোড ক্লাব মাঠে তিন দিন করেছে অনুশীলন। লেস্টার পর্ব শেষে মাশরাফীর দল এখন আইসিসির প্রটোকলে।
আয়োজকদের নীলরঙা বাসে ওঠার আগেই সৌম্য, মোস্তাফিজ, মুশফিকরা ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে জানান দিয়েছেন, তারা যাচ্ছেন বিশ্বকাপ মহোৎসবে। কার্ডিফ পৌঁছে সে উচ্ছ্বাস বেড়ে হয়েছে কয়েকগুণ।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি ১৫ ক্রিকেটার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের পোস্ট করা ছবি দেশের কোটি টাইগারপ্রেমীর ভেতরে ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপ উত্তাপের অনুভূতি-অনুরণন। ফেসবুকে ভাইরাল করে তারা জানিয়েছেন সমর্থন। আবেগ, রোমাঞ্চ আর স্বপ্নের ভেলায় ভাসার এ যেন এক মহাঐক্য।
আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের আবাস ঐতিহাসিক কার্ডিফে। ২৬ ও ২৮ মে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ সোফিয়া গার্ডেনে। ২০০৫ সালের ১৮ জুন, এই মাঠেই তখনকার পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আশরাফুলের সেঞ্চুরির দ্যুতির কাছে নতজানু হয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের দল।
সেই ঐতিহাসিক ভেন্যুতেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানের ব্যাট-বলের প্রাথমিক অধ্যায় শুরু হবে। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের ধারাবাহিক জয়ের যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে, সেটি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ শুরু হবে এখান থেকেই।
২ জুন ওভালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ে নামার আগে আদর্শ প্রস্তুতিই যোগান দিতে পারে নতুন ইতিহাস রচনায় সঙ্ঘবদ্ধ একটি দলকে অদম্য হয়ে ওঠার সাহস এবং আত্মবিশ্বাস।