ফিঞ্চের ‘ক্যাপ্টেন্স নক’

ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৮৬

পয়েন্ট টেবিলের দুই আর চারের খেলা। একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বকাপের অ্যাশেজখ্যাত ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে যেখানে ধুন্ধুমার লেগে যাওয়ার কথা ব্যাট-বলের লড়াই, সেখানে অনেকটা নীরবেই পার হল প্রথম ইনিংস। দারুণ শুরু করেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের ২৮৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে অজিরা।

মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার রান হতে পারে ৩০০ কিংবা ৩৫০! লর্ডসে ওপেনিং জুটিতেই তারা তোলে ১২৩ রান। প্রায় ছয়ের কাছাকাছি রানরেটে ২২.৪ ওভারে এসে জুটি ভাঙেন মঈন আলি। ইংলিশ অলরাউন্ডারকে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬১ বলে ৫৩ করে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার।

ওয়ার্নার ফিরলেও রানের গতি সচল রাখেন ওপেনিং সঙ্গী অ্যারন ফিঞ্চ। উসমান খাজার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ বলে যোগ করেন আরও ৫০ রান।

পরে আর অধিনায়ককে সঙ্গ দেয়া হয়নি খাজার। ক্রিকেটে যেখানে চিরন্তন দুর্বলতা, সেই গতিতেই হলেন বধ! বেন স্টোকসের ৯০ মাইল গতির এক ইয়র্কারে ভাঙে স্টাম্প। ততক্ষণে এ আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দুয়ারে ফিঞ্চ।

চতুর্থ ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ উইকেটে আসার পরপরই ক্যারিয়ারের ১৫তম ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম সেঞ্চুরির স্বাদ পান ফিঞ্চ। জফরা আর্চারের করা ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বল থেকে দুই রান নিয়ে পৌঁছান তিন অঙ্কের ঘরে।

তার ঠিক পরেই আর্চারের শর্ট বলকে ফাইন লেগ দিয়ে মারতে যেয়ে ক্রিস ওকসের হাতে ধরা পড়েন ফিঞ্চ। ১১৫ বলে ২ ছক্কা ও ১১ চারের মার তার ইনিংসে।

ফিঞ্চ যখন ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৫। হাতে আছে ৭ উইকেট আর ১৪ ওভার। স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলদের মতো পাওয়ার হিটাররা থাকায় বড় রানের আশাই ছিল!

সেখান থেকেই ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে খেলাটাকে বের করে ফেলে ইংল্যান্ড। ম্যাক্সওয়েল, স্টয়নিস হাত খোলার আগেই ফিরেছেন। যিনি বিপদ হতে পারতেন, সেই স্মিথও ৩৮ রানের বেশি করতে পারলেন না। শেষে অ্যালেক্স ক্যারির ২৭ বলে ৩৮ রানের ক্যামিওতে চ্যালেঞ্জ দেয়ার মতো সংগ্রহ পায় অজিরা।

৪৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে রানে বাঁধ দিয়েছেন ক্রিস ওকস। আর্চার, মঈন, মার্ক উড, স্টোকস প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

বিশ্বকাপ-২০১৯