ফায়ার সার্ভিসের জনবল ও সরঞ্জামের তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কী পরিমাণ জনবল ও সরঞ্জাম রয়েছে তার তথ্য এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের আলোকে রাজধানীর ৭ তলার চেয়ে উঁচু ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণের কী ব্যবস্থা আছে সেই বিষয়ে একটি যৌথ প্রতিবেদন ৪ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, রাজউক এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গুলশান সোসাইটির মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের রুলে চকবাজার এবং এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

জনসচেতনতা বাড়াতে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধ ও অগ্নি নির্বাপণের বিষয়টি কেন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হবে না রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রাজধানীর গুলশান এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন স্থাপনের বিষয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, শিক্ষা সচিব এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

আগুনগুলশান ডিসিসি মার্কেটচকবাজার অগ্নিকাণ্ডবনানী-আগুন