নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কাউসার হোসেনের দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
কাউসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক ও হল ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
গতবছরের ২৮ নভেম্বর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাউসার।
পরিবারের বড় সন্তান ও সদ্য স্নাতক শেষ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাউসারের এই অকাল মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পরে তার দরিদ্র পরিবার।
এ অবস্থায় গতকাল (১৫ জানুয়ারি) রাতে কাউসারের মানিকগঞ্জের বাড়িতে যান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান কাউসারের ছোট ভাই।
এছাড়াও ছাত্রলীগের সহায়তায় কাউসারের কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাই শিমুলকে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় বলে কাউসারের পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
এসময় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছাড়াও সেখানে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচত ডাকসুর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের এবং জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে কাউসারের বাবা মো. আমানুল্লাহ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সন্তান হারানোর ব্যাথা তো ভুলতে পারব না। তবে আমাদের মত গরীব মানুষের পাশে তারা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমার সন্তান মারা যাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি তা কখনও ভুলব না। তারা শুধু পড়াশোনায় নয় মনের দিক থেকেও মেধাবী।’
এ বিষয়ে সনজিত বলেন, ‘অকাল প্রয়াত কাউসার আমাদের সংগঠনের নিবেদিত কর্মী ছিল। আমি মনে করি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের যেকোনো বিপদ-আপদে, তাদের যেকোনো ধরনের সংকটে, যতটুকু সম্ভব সমর্থন দেয়া।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি তার পরিবার খুবই নিম্নবিত্তের। সেই দায়বদ্ধতা থেকে কাউসারের পরিবারের পাশে ছাত্রলীগের থাকা উচিত সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা তার বাড়িতে যাই৷ আমরা শোক সন্তপ্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। পরিবার যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে কাউসারের ছোট ভাইকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’