প্রধান বিচারপতির বাসবভন অভিমুখে ‘আইনজীবীদের পদযাত্রা’ আটকে গেল

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে নিয়মিত আদালত খুলে দেয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতির বাসবভন অভিমুখে ‘আইনজীবীদের পদযাত্রা’ কর্মসূচি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক পর্যন্ত এসে শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘সাধারন আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বেশকিছু আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে প্রধান বিচারপতির বাসবভন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় পদযাত্রা সেখানেই আটকে যায়। এসময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের বাইরে ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি।

এসময় সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশের আদালত নিয়মিতভাবে খুলে দিতে হবে। এবং ২০২০-২১ সালের সুপ্রিম কোর্টের সকল ঐচ্ছিক ছুটি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া আইনজীবীদের সুধবিহীন ৫ লাখ টাকা ব্যাংক লোন এবং ১ লাখ টাকা আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে।’ এর আগে আরো কয়েকদিন মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে সারা দেশের আদালত খুলে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী ১৯ জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সপ্তাহে ৫ দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে নির্দেশনা এসেছে। বর্তমানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুই দিন বসেছে আপিল বেঞ্চ। এরআগে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে কিছু আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষাপটে গত ১১ মে দেশে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, হাইকোর্ট এবং অধস্তন আদালতগুলো ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারকার্য শুরু করে। এতে করে গত ৪০ কার্যদিবসে দেশের অধস্তন আদালতগুলো লক্ষাধিক আবেদন নিস্পত্তি করে, অর্ধলক্ষাধিক জামিন মঞ্জুর করেছে। আর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং আইনজীবীদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’।

আইনজীবীআদালতসুপ্রিম কোর্ট