প্রচণ্ড শীতেও থাকুন সুরক্ষিত

কয়েকদিন ধরেই শীত ছিলো হালকা হালকা। কিন্তু এক পশলা বৃষ্টির সঙ্গে শীতটাও এসেছে জাঁকিয়ে। এর মধ্যে একটু বাড়তি সচেতন না হলে ভুগতে হবে বেশ। তাই দরকার সচেতনতা।


গোসল: শীতের সবচেয়ে বড় যুদ্ধের নাম গোসল। অনেকেরই গোসল করতে ইচ্ছে করবে না মোটেও, কিন্তু না করলেও ভুগতে হবে। তাই তাদের জন্য পরামর্শ, যদি ইচ্ছে না করে তাহলে নিজেকে জোর করবেন না।

আর বৃষ্টির পানিতেতো মোটেও নয়। দরকার হলে ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করতে পারেন গোসলের জন্য। সেক্ষেত্রে মাথা যতটা আলগা রাখা যায় ততই ভালো। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে অথবা লম্বা চুলে প্রতিদিন মাথা না ভেজানোই ভালো।


গরম কাপড়: বৃষ্টি পড়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই শীত বাড়বে আরো বেশি। তাই অবশ্যই গরম জামা-কাপড় পরে বেরোন। যানবাহনে ভ্রমণের সময়ও মাথা, গলা ভালো করে ঢেকে বসুন।


জুতা: এমন প্রখর শীতের আবহাওয়ায় অবশ্যই পা ঢাকা জুতা পরবেন। এতে ঠান্ডায় যেমন আরাম পাবেন, তেমনই সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন। বৃষ্টির জল পায়ে লাগলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সেটা থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে রক্ষা করুন। মোজা পরতেও ভুলবেন না।


হাত-মুখ: সংক্রমণ দূরে রাখার প্রাথমিক শর্ত হাত পরিষ্কার রাখা। এই সব দিনে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। হাত থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত সব সময় পরিষ্কার রাখুন। ব্যাগে লিকুইড সোপ, টিস্যু, স্যানিটাইজার রাখবেন। মুখ, চোখ, নাকের মাধ্যমে ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব মুখে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন। হাঁচি হলে, চোখ কটকট করলে রুমাল ব্যবহার করুন। 


খাবার দাবার: খাবারের ব্যাপারেও একটু বাড়তি সচেতন হতেই হবে। বাইরে যা ইচ্ছে হবে তাই খেয়ে ফেলবেন না। বিশেষ করে ভাজাভুজি, তেলযুক্ত খাবারেতো একেবারেই না। বাইরের পানি বা খাবার থেকে পেট খারাপ, জ্বরের সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল। হারবাল চা খাওয়ার অভ্যেস গড়ুন। এ ছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, তুলসি, গোলমরিচ, আদা খান। শরীর ভালো থাকবে। এনার্জিও বাড়বে।

শীত