করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হাতের বদলে প্যাডেলট্যাপ ফিল্টারের ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করতে “আমরা বন্ধু” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনামূল্যে নিরাপদ পানি সরবরাহ শুরু করছে।
সংগঠনটি গত ১৬ জুন থেকে মুগদা হাসপাতাল এবং ৮ জুলাই থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এমন একটি প্যাডেলট্যাপ স্থাপন করেছে। যাতে হাসপাতালে আসা মানুষজন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিরাপদ পানি পান করতে পারে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন একটা ফিল্টার থেকে দুই থেকে তিন’শ মানুষ পান করতে পারছেন। এসব জায়গায় পেপার গ্লাস এবং বিশুদ্ধ পানি কিনে দেয়া হচ্ছে। এর জন্য প্রতিদিন গড়ে তিন-চারশ টাকা খরচও হচ্ছে।
করোনার এই মহামারীর সময়ে প্রচণ্ড রোদে অপেক্ষারত ক্লান্ত মানুষদের জন্য এটি খুব সামান্য সহায়তা হলেও এর ফলে অনেক মানুষ সংক্রমণের ঝুঁকি ছাড়া তেষ্টা নিবারণ করতে পারছেন।
অ্যাক্টিভিস্ট বাকী বিল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের অকালপ্রয়াত বন্ধু পদার্থবিজ্ঞানী ড. রাসেল পারভেজ এর স্মরণে এবং করোনা-পরবর্তী প্রযুক্তি উদ্ভাবনীয় প্রতিষ্ঠান মাল্টিভার্স এর সহায়তায় আমরা এই প্যাডেলট্যাপটি বানিয়েছি।’
‘‘সাধারণত পানির ফিল্টারের ট্যাপ হাত দিয়ে চালু করতে হয়। এগুলো পাবলিক স্পেসে যখন ব্যবহার করা হয় তখন এর ট্যাপ অসংখ্য মানুষ হাত দিয়ে স্পর্শ করায় তাতে করোনাসহ অন্যান্য রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাতের বদলে ফুট অপারেটেড বা পা-চালিত পানির কল ব্যবহার করা হচ্ছে।
যদিও এর বেশীরভাগই অনেক দামী, ইলেকট্রনিক-সেন্সর নির্ভর। আমাদের দেশেও এখন এসব পানির ফিল্টারকে সহজেই প্যাডেল চালিত বা ফুট-অপরেটেড করে ফেলা প্রয়োজন। বিশেষ করে অফিস, আদালত, হাসপাতাল, মার্কেট, স্কুল-কলেজ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট প্রভৃতি স্থানে। এর ফলে কোভিড-১৯ ছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডায়ারিয়াসহ অনেক ধরণের রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ কমে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে হাসপাতাল ছাড়াও অন্যান্য পাবলিক প্লেসে বিনামূল্যে প্যাডেলচালিত ফিল্টার স্থাপন করা। এতে হয়ত এর ব্যবহারের ধারণা আমাদের সমাজে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, শপিং মল ইত্যাদি স্থানে এর জনপ্রিয় করে তোলা। ফলে আমাদের বাইরে যাওয়া হয়ে উঠবে আরো নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত।