গত কয়েকদিন থেকে পোশাক খাতে চলছে টানা শ্রমিক অসন্তোষ। নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে রাজধানী, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় টানা বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বেশ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
নতুন স্কেলে কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেয়ার আশ্বাস দেয়ার পর ইতোমধ্যে রাজধানীর উত্তরায় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছিল পোশাক শ্রমিকরা। তবে এরপরও বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ, অবরোধ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তারা বলছে, ‘আজ সোমবারের মধ্যে যেসব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরবে না, সেসব কারখানা শ্রম আইন মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হবে এবং শ্রমিকেরা সেই সময়ের মজুরি পাবে না।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তৈরি পোশাক খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। তাই এ খাতের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষকে ভেবেচিন্তে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
আমরা বরাবরের মতো এখনও বলেছি, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি যেমন তাদের প্রাপ্য, ঠিক তেমনই মালিকপক্ষের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলোও অনুধাবন করতে হবে। কোনো পক্ষ যদি অন্যায় কিছু করে থাকে, তাহলে সেখানে সরকারের সংশ্লিষ্টদের মধ্যস্থতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ইতোমধ্যে আমরা জটিলতা নিরসনে এগিয়ে আসতে দেখেছি। তারা নতুন নেতৃত্বে জটিলতা নিরসনে সক্ষম হবেন বলেই আমরা আশা করি।
এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। ইতোমধ্যে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার খবরও আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসাথে কেউ যাতে এমন পরিস্থিতিতে অতি উৎসাহী হয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে না পারে সেই বিষয়ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি পোশাক খাত নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি।