অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বেছে নেওয়া শাহনাজ আক্তার পুতুল যখন নিজের বাইক হারিয়ে দিশেহারা, তখন পুলিশের প্রচেষ্টায় মাত্র ১৪ ঘণ্টা পর তা ফিরে পেয়েছেন তিনি। জীবিকার একমাত্র সম্বল সেই বাইক খুব দ্রুত উদ্ধার হওয়ায় পুলিশকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শাহনাজ।
আমরা দেখেছি, অনেকটা সিনেমা-নাটকের মতো করে শাহনাজের চুরি হওয়া বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশের একদল চৌকস সদস্য। স্বল্পসময়ে এই বাইক উদ্ধারের পর গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমরাও মনে করি, পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রশংসার দাবিদার। এমন দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পুলিশ বাহিনীকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে পুলিশ বাহিনী চাইলেই যেকোন অপরাধ দমন করতে পারে এ ঘটনায় তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। তাই এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে পুলিশকে সবসময় এভাবে কাজ করে যেতে হবে।
একথা স্বীকার করতে হবে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অন্যান্য বাহিনীর চাইতে পুলিশ বাহিনীই সবসময় দেশের জনগণের পাশে থাকে। ১৪/১৫টি শাখায় বিভক্ত হয়ে পুলিশ বাহিনী নানা দায়িত্ব পালন করে চলেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ এসেছিল এই পুলিশ বাহিনী থেকেই। তাদের রয়েছে ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য।
পুলিশ জনগণের বন্ধু, এ কথা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলে আলোচিত হলেও নানা কারণে পুলিশ সমালোচিত হয়ে থাকে। তারপরেও নাগরিক সেবায় ও জননিরাপত্তায় প্রথম এবং প্রধান ভরসা এই পুলিশ বাহিনী। শাহনাজের বাইক উদ্ধারের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর ইমেজ অনেক উজ্জ্বল করেছে, সেই সঙ্গে অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনীর আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে।
এই ধারায় সারাবছর কাজ করে গেলে জনগণ সব সময়ের বন্ধু হিসেবে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে গর্ব করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।