পাহাড়ে হত্যাকাণ্ড: খাগড়াছড়িতে যৌথবাহিনীর চিরুনি অভিযান

খাগড়াছড়িতে শনিবার দুর্বৃত্তদের হামলায় ৬ জন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে রোববার থেকে যৌথবাহিনীর চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

আগামী এক সপ্তাহ ধরে এ অভিযান চলবে বলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান জানিয়েছেন।

এর আগে শনিবার রাতে এই ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু ইউসুফ এবং সদস্য সচিব খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

শনিবার খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ঘটনার জেরে স্বনির্ভর বাজারের দোকানপাট আজও খোলেনি। তবে, বন্ধ থাকা খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে সকাল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

গুলিতে নিহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের লাশ শনিবার রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পাহাড়ি সংগঠনগুলোর তিন নেতার লাশ এখনো খাগড়াছড়ি থানায় রয়েছে। তারা হল- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি তপন চাকমা, একই সংগঠনের জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক এলটন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহ-সভাপতি পলাশ চাকমা। শনিবার দুপুরে পৃথক ঘটনায় নিহত ছন কুমার চাকমার লাশও পরিবারের সদস্যরা বুঝে নিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের এএসপি আফতাব আহমেদ জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক  রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত তিনটি পাহাড়ি সংগঠন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের করা ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে।

খাগড়াছড়িচিরুনি অভিযাননিহতব্রাশফায়ারলিড নিউজ