পাল্টা দিতে গিয়ে উল্টো ডুবছে ইংল্যান্ড

সাবেক ছয় অধিনায়ক বলেছেন, 'অত্যন্ত বেদনাদায়ক'

৪৯ বল ক্রিজে থেকে তার ১২ রান যদি না থাকত? এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। জো ডেনলির দু’অঙ্কের রান দেখে হাসতে হাসতে ইংলিশ সাবেক ক্রিকেটাররা বলে বসছেন, কেউ অন্তত মানসম্মানটা খানিক বাঁচিয়েছে!

চব্বিশ ঘণ্টা আগেও যে ইংল্যান্ডকে দেখে মনে হচ্ছিল লিডসের হেডিংলিতে পাল্টা হাওয়া বইয়ে দেয়ার জন্য নেমেছে, কিন্তু বাস্তবে তাদেরই ভরাডুবি। হেডিংলেতে মাত্র ৬৭ শেষ হয়ে যায় জো রুটের দলের ব্যাটিং। গত ৫২ বছরের ইতিহাসে এত খারাপ পারফরম্যান্স অ্যাশেজে করেনি ইংল্যান্ড। আর হেডিংলেতে এটাই কোনো টেস্টে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কম রান।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

প্রথম ইনিংসে হেডিংলিতে হেডলাইন ছিলেন জফরা আর্চার। তাকে সামলে ১৭৯ তোলা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় দিনের শেষ তুলেছে ১৭১-৬। ক্রিজে রয়েছেন আগের ইনিংসে ৭৪ করা মার্নাস লাবুশেন (৫৩)। এখনই ২৮৩ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর প্রশ্ন উঠছে, ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের দাপটে কি ক্রিকেটের আঁতুরঘর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট?

জিওফ্রে বয়কটের মতো সাবেক বলেছেন, ‘কোচেরা এখন বাচ্চাদের টি-টুয়েন্টি ব্যাটিং শেখাচ্ছেন। ক্রিকেট প্রশাসকরাও তাই করছেন। টেস্ট ক্রিকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হবে, তা আর শেখানো হয় না।’

বয়কটকে সমর্থন করে অ্যালিস্টার কুক বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, চারদিনের ক্রিকেটকে সামনে রেখে বড় হওয়ার চেষ্টা করতাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিফেন্স করতাম বা বল ছাড়তাম। বাচ্চারা এখন সে সব শেখে না।’

বয়কট-কুক ছাড়াও আরও অন্তত চারজন সাবেক অধিনায়ক ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাদের সবার মুখে একটি বাক্য, ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’। সমালোচকদের তালিকায় আছেন, মাইকেল আথারটন, বব উইলিস,মাইকেল ভন, নাসের হুসেইনরা।

হেডিংলেতে দ্বিতীয়দিন সকাল থেকে বিপর্যয়ের মুখে পড়েন জো রুটরা। প্রথম ইনিংসের ৩.৫ ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। জেসন রয়কে (৯) ফিরিয়ে দেন জস হ্যাজেলউড। তারপর আর কেউই তলিয়ে যাওয়া আটকাতে পারেননি। আরেক ওপেনার জো বার্নসও (৯) দ্রুত ফেরেন। জো রুট (০), বেন স্টোকস (৮), জনি বেয়ারস্টো (৪), জস বাটলার (৫), ক্রিস ওকস (৫) চূড়ান্ত ব্যর্থ।

লাঞ্চের সামান্য পরে, মাত্র ২৭.৫ ওভারে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসারই গুঁড়িয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। অজিদের সফল বোলার হ্যাজেলউড, ১২.৫ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে তিনি নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট প্যাট কামিন্সের। ২ উইকেট জেমস প্যাটিনসনের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে সাময়িক ধাক্কা দিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৫২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় অজিদের। ডেভিড ওয়ার্নার (০), মার্কাস হ্যারিস (১৯) ও উসমান খাজা (২৩) ট্র্যাভিস হেডরা (২৫) আউট হয়েছেন।

তবে একদিকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন লাবুশেন। স্মিথের বদলি হিসেবে নামা ২৫ বছরের ক্রিকেটার যেন প্রতি ইনিংসেই নিজেকে মেলে ধরছেন।

অ্যাশেজ ২০১৯অ্যাশেজ-২০১৯/২০লিড স্পোর্টস