পাতায় পাতায় উচ্ছ্বাস

লন্ডন থেকে: ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন না হলে অনেকের হয়ত জানাই হত না এই দেশটিতে বসেছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ! ক্রিকেট ইংল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করলেও এখানে ‘জেন্টেলম্যান গেম’ নিয়ে নেই কোনো মাতামাতি। ক্রিকেট নামে কোনো খেলা আছে সেটিও অনেকের অজানা! এখানে জনপ্রিয় ফুটবল, রাগবি। তিন নম্বর খেলা হল ক্রিকেট।

ইংলিশ ক্রিকেট সমর্থকদের আশা এত বড় সাফল্যের পর খেলাটি নিশ্চয়ই আর অজনপ্রিয় থাকবে না দেশটিতে। ক্রিকেটের নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে পত্রিকায় যে কাভারেজ দেয়া হয়েছে তা সুবিশাল। পাতা উল্টালেই ক্রিকেট আর ক্রিকেট।

বিশ্বকাপ ফুটবলে ইংল্যান্ড কোনো ম্যাচ জিতলে সারারাত ধরে উৎসব চলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিটি মিলনস্থলে। কিন্তু ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও ‍নেই বাড়তি উন্মাদনা। উইকেন্ডের রাতে সাউন্ড স্লিপ দিয়ে সকাল সকাল কর্মব্যস্ত হয়ে পড়তে ভুল করেননি কেউ। তবে ফুটবল হলে অন্যসব কিছুকে তোয়াক্কা না করে কেবল আনন্দে মেতে থাকতেন তারা।

বড় পর্দায় ট্রাফালগার স্কয়ারে অনেকেই খেলা দেখেছেন, আনন্দ করে বাড়ি ফিরেছেন। ব্যাস এটুকুই। তবে গৌরবের দিনটিকে পত্রিকার পাতায় যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে ক্রিকেট খেলাটার অনুরাগী কিছুটা বাড়ারই কথা সামনের দিনগুলোতে।

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ধ্রুপদী লড়াই শেষে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবমুখরতা ছুঁয়ে গেছে ব্রিটিশ মিডিয়াকে। আবেগ, আনন্দ প্রকাশ পেয়েছে পত্রিকাগুলোর শিরোনামে। ইংল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক ‘মেট্রো’ ইংলিশ খেলোয়াড়দের ট্রফি হাতে উচ্ছ্বাসের ছবিকে স্পটলাইটে রেখেছে। ক্রিকেটারদের দিয়েছে ‘সুপার হিরো’ তকমা। পাতায় পাতায় দলীয় ও ট্রাফালগার স্কয়ারে দর্শক-উন্মাদনার ছবি।

৫১ পাতার ট্যাবলয়েডে ১০ পাতাজুড়ে খেলার খবর। ক্রিকেট ছাড়াও তাতে আছে একই শহরের অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাব কোর্টে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে রজার ফেদেরারকে হারিয়ে নোভাক জোকোভিচের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খবর। আরও আছে ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান রেসে লুইস হ্যামিল্টনের সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ডের চূড়া ছোঁয়ার খবর।

বিশ্বকাপ-২০১৯