এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রশ্নফাঁস রোধে গোয়েন্দা নজরদারীর পাশাপাশি সাইবার পেট্রোলিং এবং আন্ডারকভার অপারেশন চলমান রয়েছে জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন প্রশ্নফাঁসের মতো অপকর্ম করে পার পাওয়া খুব কঠিন হবে।
তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে র্যাব, ২-১ দিনের মধ্যেই যার ফলাফল দেখা যাবে।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, যে কোন সরকারি পরীক্ষা এলেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের অপচেষ্টা রোধে সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপের সঙ্গে র্যাবও যুক্ত হয়। সকলের সার্বিক তৎপরতায় গতবছর এ হুমকি নাস্যাৎ করতে পেরেছি। এবারো এ সংগ্রামে আমরা সামনে থাকবো।
শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গতবছর কয়েকজন শিক্ষককে এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদেরকে আমরা শিক্ষক প্রতিনিধি বলে মনে করিনা। আশা করব এ ধরনের অপকর্মে শিক্ষকরা জড়িত হবেন না।
কোন ছাত্র-ছাত্রীও প্রশ্নফাঁসের পেছনে দৌঁড়াদৌঁড়ি করবেন না। গতবছরের মতো এবারো এ ধরনের অপপ্রয়াস দেখলে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হবে। এর ফলে নবীন বয়সেই কারো ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাক আমরা চাইনা।
গতবছর প্রশ্নফাঁসের বিরোধী অভিযানে সারাদেশে ১২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবারো এ ধরনের সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার করা হবে। তাই শত প্রলোভনের মধ্যেও অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে সযত্নে এ ধরনের অপকর্ম থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
র্যাব প্রধান বলেন, র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তৎপর রয়েছে। প্রত্যেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে র্যাবের সক্ষমতা রয়েছে।
গোয়েন্দা নজরদারীর পাশাপাশি সাইবার পেট্রোলিং ও আন্ডারকভার অপারেশন চলমান রয়েছে। পরীক্ষার সময় হল পরিদর্শনে র্যাবের অফিসাররা যাবেন। সেখানে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ধরনের তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন, যেন শুরুতেই সমূলে উৎপাটন করতে পারি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্নফাঁসের নামে প্রতারণা করে টাকা নিয়ে যায়। এটাও এক ধরনের জঘন্য অপরাধ, যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাব ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তৎপরতা বলবৎ রয়েছে, ২-১ দিনের মধ্যে এর ফলাফল দেখতে পাবেন। এ ধরনের অপকর্ম করে পার পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে, আই ক্যান চ্যালেঞ্জ।
কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে, তারপরেও শহরের অলিতে গলিতে কোচিং বন্ধ রেখেও কেউ অপকর্ম করে কি না, র্যাবের নজরদারী থাকবে। আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যাব এবং ব্যবস্থা নিব।
অনেক অপরাধ থেকেই বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রশ্নফাঁসের মতো জঘন্য অপরাধ বিলুপ্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন র্যাব প্রধান।