করোনা পরিস্থিতিকে শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যায় সীমাবদ্ধ না রেখে পরিবেশগতভাবেও দেখতে নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নর্দান ইউনিভারসিটি আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত বাজেট ও কোভিড নাইনটিন’ বিষয়ে অনলাইন আলোচনায় করোনা পরবর্তী অর্থনীতির সুষম উন্নয়নে পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা। প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
দেশের পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, পরিবেশকে বাদ দিয়ে একমুখী উন্নয়ন টেকসই হবে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মনিরুল এইচ খান বলেন, কভিড নাইনটিন পরিবেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে তা ধরে রাখতে দুষনের খাত চিহ্নিত করতে হবে। পরিবেশ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন প্রাণী বিজ্ঞানের এই শিক্ষক।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বরাবরের মতো বাজেটে সবশেষ খাত হিসেবে গুরুত্বহীন ছিল। আইলা, সিডর ও আম্পানের মতো ঘূর্ণিঝড় থেকে দেশকে রক্ষা করা সুন্দরবন ও উপকূলীয় মানুষদের জন্য পরিকল্পনা ও বরাদ্দ নেই বাজেটে। স্বাস্থ্য ও পবিবেশকে একইভাবে বাজেটে গুরুত্ব দেয়া উচিত।
সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র রক্ষা ও দুষণ রোধে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তরুণদের সবুজ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ সুরক্ষার শিক্ষা ঘর থেকে শুরু করার আহ্বান জানান এই পরিবেশবিদ। সব মিলিয়ে পরিবেশ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি আবারো ভেবে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মুকিত মজুমদার বাবু।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ বলেন বাজেটে পরিবেশ গুরুত্ব না পেলে ভবিষ্যতে করোনার চেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে সভ্যতা।
আলোচনায় সভাপত্বি করেন নর্দান ইউনির্ভাসিটি প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ূন কবীর।