পরিবহন শ্রমিকরা হুজুগে আন্দোলন করছে: ডাকসু

ঢাবি বাস ভাঙচুরের তীব্র প্রতিবাদ ও শাস্তি দাবি

পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটকে হুজুগের আন্দোলন মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাস ভাঙচুরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িদের শাস্তি দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)।

সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, আন্দোলনের নামে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা করেছে। বাসের ভেতরে শিক্ষার্থীরা ছিলো। তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে শ্রমিকরা। এটা একটা নৈরাজ্য। তাদের এই ধর্মঘট একটি হুজুগে আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাকসুর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন ডাকসুর নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসাবে ডাকসুর পরিবহন সম্পাদককে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী হতে তাগিদ দিয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, পরিবহন সম্পাদককে বলব, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি মামলা না করে, তাহলে তিনি যেন ছাত্রদের অভিভাবক হয়ে মামলার বাদী হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর আঘাত করার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ওপর আঘাত করার দুঃসাহস যেন আর কেউ না দেখায়।

নুর আরও বলেন, যখন সরকার পরিবহন ব্যবস্থায় কঠোর আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে, তখন তারা এমন একটি হুজুগে আন্দোলন শুরু করেছে।

সমাবেশের আন্দোলন সবার গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে নুর বলেন, আন্দোলন তো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা ছাত্ররা যখন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করেছি, আমরা তো কোনো গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দিইনি। কারো মুখে মবিল বা কালি মেখে দিইনি। তাহলে পরিবহন শ্রমিকরা কেন সাধারণ মানুষের মুখে মবিল মেখে দেবে? তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মুখে কালি মেখে দেবে এটা কেমন?

এসময় ধর্মঘটকে উসকানিমূলক আন্দোলন বলেও মন্তব্য করেন ডাকসু ভিপি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ডাকসুর ছাত্রকল্যাণ ও পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক শামস ই নোমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন, ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, মাহমুদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

গতকাল পরিবহন শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকা ও টঙ্গিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসের গ্লাস ভাঙচুর করা হয় এবং বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে শ্রমিকরা।

ডাকসুঢাবিধর্মঘটপরিবহন শ্রমিক