পঙ্কজ ভট্টাচার্য: রাজনীতির শ্লোগান ও ভাষা নির্মাণে সারাজীবন

এক.
কোনো কিছুতে আর আগের স্বাদ নেই। মানুষের মধ্যে আর আগের মতো আবেগ মহব্বতও নেই। জলবায়ুর মতোই সবকিছু পাল্টে গেছে। একদিকে বৃষ্টি হচ্ছে তো আরেকদিকে চেনা সুরে কোকিল ডাকছে। মানুষ ঘুরে তাকায় আর ভাবে মুঠোফোনের শব্দ বুঝি। আসলে কোনোকিছুতে মানুষের আর বিশ্বাস নেই। বিশ্বাস শব্দটিও পাল্টে গেছে। মানুষ এখন হামেশাই বলে কাউকে বিশ্বাস করেছো তো মরেছো। সবকিছুর প্রতি অবিশ্বাস অনাস্থা আর আত্মকেন্দ্রিকতা আজকের দিনে মানুষের বড় পুঁজি। এর ভেতর দিয়েই সে বিশ্বাসের অভিনয় করছে, আস্থার অভিনয় করছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। টেলিভিশনের কথার খৈ ফোটাচ্ছে কিংবা ঝড় তুলছে। তারপর প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেরটুকু নিয়ে ঘরে ফিরছে। ব্যক্তিস্বার্থের বস্তা হাতে সবাই যেন দিনরাত কিছু একটা কুড়িয়ে চলেছে। সময়টি এখন ব্যক্তিস্বার্থ নামের ফল কুড়োনোর।

এই সময়ে কি আর রাজনীতি চলে? রাজনীতি না থাকলে নেতা থাকে কীভাবে? আজকের দিনে নেতা কারা ? আগামীর নেতাই বা কারা? এসব প্রশ্ন করাও আরেক বিপদ। নিজের পকেট, ঘরের চাহিদা বড়জোর পরিবারের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য এই তো আদর্শ মানুষের মূল ভাবনাক্ষেত্র। এর বাইরে তার যাওয়ার দরকার কী? রাজনীতি করা হয় ঘুরে ফিরে এই ক্ষেত্রটুকুই টইটুম্বুর করার জন্য।

নেই নেই কিছু নেই, তবু যেন আছে কিছু’র মতো একেবারে হাতে গোনা দুয়েকটি বাতি এখনও জ্বলছে। এই বাতিগুলি একেকজন মানুষ। যারা এই সমাজের প্রবণতা আর দেশের ভালোমন্দের সারমর্ম জানেন। তারা জানেন, দেশ এখন কী বলছে? তারা দিনের আলোতে যেমন শুনতে পান গভীর অন্ধকারেও দেশের কথা শুনতে পান। শ্রবণশক্তির মতোই তীক্ষ্ণ তাদের দৃষ্টিশক্তিও। কতদূরে মিলিয়ে যাচ্ছে আলোক রেখা আর কত নিকটে নিকষকালো অন্ধকার এই হিসাব তাদের চোখে দেখা। তারা নিশ্বাসের সঙ্গে পান কল্যাণ অকল্যাণের ঘ্রাণ। অনুভব করেন গুমোট উষ্ণতা, ভ্যাপসা গরম কিংবা ঝিরঝিরে বাতাসের রহস্য। এরকম একজন মানুষ পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

নেতা শব্দটি যখন হামেশাই প্রশ্নবিদ্ধ, তখন অন্যতম এক আশার দৃষ্টান্ত হয়েই তিনি সামনে আসেন। একদিন আমি বললাম, নেতৃত্বের রহস্য আর বিশেষত্ব কী ? তিনি বললেন, বুকের ভেতর ৫৬ হাজার বর্গমাইলকে আঁকতে পারাই নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু যেটি পেরেছিলেন। আমরা এই পথেরই পথিক মাত্র। সতের কোটি মানুষকে নিজের মানুষ বলে বিশ্বাস করি; এই যা।

দুই.
ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাষ্টার দা সূর্য সেন ব্রিটিশ রাজের ফাঁসিকাষ্ঠে আত্মাহুতি দিলেন ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি। তার বাড়ি ছিল চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায়। এই একই গ্রামে পাঁচ বছর পরে জন্ম পঙ্কজ ভট্টাচার্যের। তখন সূর্য সেনের আলোই তরুণ প্রজন্মের চেতনার আলো হয়ে আছে। বাল্যবেলায় পঙ্কজ ভট্টাচার্য বড়দের সঙ্গে যখ পুজোর মেলায় যেতেন তখন মেলা থেকে কিনতেন মাটি দিয়ে বানানো সূর্য সেন এর মূর্তি। সূর্য সেন তখন ঘরে বাইরে মননে মজ্জায় দাগ কাটছে মুক্তিপ্রাণ প্রতিটি মানুষের। একেবারে বাল্যবেলায় হৃদয়ে সূর্যসেনের বিপ্লব গেঁথেই জীবন শুরু করলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। পড়লেন সূর্যসেনের বাল্যবেলার সেই স্কুল নোয়াপাড়া দয়াময়ী স্কুলে। শিক্ষাব্রতী পিতা প্রফুল্লকুমার ভট্টাচার্য আর স্বদেশী আন্দোলনের নেতাদের এক আশ্রয়স্থল মনিকুন্তলা দেবীর সন্তান হিসেবে তার বাল্যবেলার সমস্ত শিক্ষার মধ্যেই ছিল প্রকৃত জীবনবোধ, দেশাত্ববোধ আর মানবিকতা। দৃশ্যত বাহ্যিক ধন সম্পদ ও বিত্তের চর্চা গোটা পরিবারটিতেই ছিল না। ছিল আদর্শের বৈভব আর নৈতিকতার চর্চা। ছিল ইংরেজ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গভীর এক প্রতিবাদী চেতনা। যে চেতনাই যেকোন অন্যায়কে রুখে দাঁড়ানোর সাহসে রূপ নেয়। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিস্কার হন ছাত্র রাজনীতির কারণে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতিই তার ব্রত হয়ে ওঠে। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় গোটা শিক্ষা জীবনই তার কাটে ছাত্র রাজনীতির ভেতর দিয়ে। কখনো কর্মী কখনো নেতা। ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে পঙ্কজ ভট্টাচার্য সমসাময়িক রাজনীতিকদের কাছে এখনও অনন্য এক ছাত্রনেতার প্রতীক হয়ে আছেন। এখনও তিনি তারুণ্যে ভরা এক বিপ্লবী। এখনও সাহস তার ভেতর থেকে কিশোর তরুণের মতো উৎসারিত হয়। তিনি ধীমান অথচ কর্মচঞ্চল, চিন্তাশীল কিন্তু সময়ের সঙ্গে চলা এক দ্রুতগামী মানুষ।

তিন.
দেশপ্রেমের নানা উদাহরণ এদেশে আছে। কিন্তু পঙ্কজ ভট্টাচার্যের দেশপ্রেম আর আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি নিষ্ঠা এদেশে এক বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি রাজনীতি করেছেন শোষিত মানুষের সঙ্গে মিশে থাকার জন্যে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে থাকাকালীন বহুবার তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। ১৯৬৫ সালে ঘটে এক হৃদয় নাড়া দেয়া ঘটনা। চট্টগ্রাম থেকে তাকে যখন ট্রেনে কুমিল্লা জেলে পাঠানো হচ্ছে। সেই একই ট্রেনে তার মা বাবা দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাচ্ছেন। দেশ, জাতি, জনগণের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে থেকে যান। যেদেশে তার পূর্ব পুরুষের শেকড়, সেই দেশেই বারবার জীবন বাজি রাখেন তিনি। কিন্তু চট্টগ্রামের রাওজানে পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটির হিসাব বুঝে নিতে যাননি কোনো দিন। বিষয় সম্পত্তির মোহ থেকে উর্দ্ধে উঠে সংগ্রামের উত্তাপ ও উষ্ণতায় সাজিয়েছেন জীবন। যে জীবনের দিনের পর দিন রাতের পর রাত কেটেছে পার্টি অফিসে, নেতাকর্মীদের সঙ্গে অথবা একাকী রাজনৈতিক ভাষা নির্মাণের নিবিড় সাধনায়।

ষাটের দশকের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের এক অগ্রসৈনিক ছিলেন তিনি। পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সান্নিধ্যও। সেসময়ের নবীন প্রবীন ও সমসায়িক সব সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের সঙ্গে পথ চলেছেন। স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের শোষণ বঞ্চনার হিসাবগুলোর রাজনৈতিক সংজ্ঞা তৈরিতে তিনি বরাবরই ছিলেন সৃজনশীল এক রাজনীতিক। তার ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে তার ছিল অনন্য ভূমিকা।

গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সহযোগীদের মাঝে বীরত্বগাঁথা অম্লান এক ইতিহাস। তারপরও মহান স্বাধীনতার পর যখন রাজনীতিকদের আত্মতৃপ্তি, তুষ্টি আর ‘কি পেলাম’ এর তৎপরতা শুরু হয় সেখানে পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য থেকে যান পুরোপুরি অনুপস্থিত। বরং সদ্য স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কেমন হওয়া চাই, সেই পথ নির্মাণেই ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। সক্রিয় থেকেছেন রাজপথে। সত্য যত কঠিন বা তিক্ততায় ভরা হোক না কেন তা উচ্চারণে তিনি কোনোদিন কুন্ঠাবোধ করেননি। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর সামরিক শাসকগুলোর কোপানল থেকে একদিনও মুক্ত থাকতে পারেননি তিনি। গোয়েন্দা তৎপরতা আর বহুবিধ অভিযানের ভেতর থাকতে হয়েছে আড়ালে আবডালে।

চার.
বহু বৈচিত্রে ভরা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের জীবন। আদর্শের সঙ্গে আপস করেননি বলে একাধিকবার মনোনিবেশ করতে হয়েছে নতুন নতুন ঐক্য গড়ার কাজে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ন্যাপ থেকে গণফোরাম, বর্তমানে ঐক্যন্যাপ এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য যেকোন রাজনীতিবিদের চেয়ে তিনি ব্যতিক্রম এই জন্য যে, পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতির শ্লোগান ও ভাষা নির্মাণে তার সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন। এখনও সরকারি কোনো সিদ্ধান্তে কারো মুখে যখন কোনা ভাষা থাকে না তখনও পঙ্কজ ভট্টাচার্য জনগণের পক্ষ অবস্থানে থেকে প্রতিবাদের প্রকৃত সুর বের করে আনেন। এই শক্তি আজকের দিনের রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিরল।

দেশে এখন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। কিন্তু চেতনার কোন কোন জায়গাতে এই সরকার বঙ্গবন্ধুর চেতনা থেকে স্খলিত, কোথায় জনগণের স্বার্থ থেকে বিচ্ছিন্ন সে অংক অন্য যেকোনো প্রগতিশীল নেতাদের কাছে না মিললেও পঙ্কজ ভট্টাচার্য ঠিকই ধরে ফেলেন। এ কারণেই বরাবরই ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের কাছে তার ভাষা ঝাঁঝালো। তার বজ্রকণ্ঠের প্রতিটি উচ্চারণ সোজা সাপ্টা। খুব বেশি দূরে যেতে হবে না গুগলে পঙ্কজ ভট্টাচার্য লিখে একটু অনুসন্ধান করলেই যে ফলাফলগুলো পাওয়া যাবে তার সবগুলোই একেকটি স্লোগান। সবগুলোই একেকটি অনুসন্ধানী ভাষা। যা সাহস করে সহজ করে কেউ উচ্চারণ করতে সমর্থ হননি।

কয়েকটির উদাহরণ দিচ্ছি। ২৫ জানুয়ারি ২০১৫, আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তার বক্তব্য : এ সরকার প্রতারক সরকার (দৈনিক প্রথম আলো ), ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, রাজনীতিবিদ অজয় রায়ের স্মরণ সভায় তার বক্তব্য : সরকারের একাংশেও জঙ্গীবাদ (দৈনিক প্রথম আলো), ৭ মার্চ ২০১৭ নারায়ণগঞ্জে ত্বকীর স্মরণসভায় বক্তব্য : ত্বকী হত্যার বিচার না হলে দেশে অরাজকতা হবে। অসত্যের কখনো জয় হয়নি। সত্যের জয় হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও সত্যের জয় হবে। (দৈনিক সমকাল), ১৮ মে ২০১৭, হাওরে দুর্নীতি রুখতে গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে (দৈনিক সমকাল), ৩ জুন ২০১৭ বাজেট ঘোষণা পরবর্তী বিবৃতি : লুটেরা বান্ধব এ বাজেট। আরো তীব্রতর আরো কঠিন কঠিন উচ্চারণ তিনি করেন তার বক্তৃতায় ও লেখনীতে। সবসময় সংবেদনশীল ও সক্রিয় একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পঙ্কজ ভট্টাচার্য এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষের প্রাণের মানুষ। দেশের যে প্রান্তেই হোক, কোথাও একটি সংখ্যালঘু পরিবারও যদি আক্রান্ত হয় সেখানেই ছুটে যান পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি তৃণমূল শ্রমজীবী ও নানাভাবে শোষিত মানুষের এক আশ্রয়স্থল। এখনও তিনি কাজে ও চিন্তায় প্রান্তিক মেহনতি ও অত্যাচারিত মানুষের কথাই সবার আগে স্মরণ করেন। এখনও তিনি সকাল থেকে গভীর রাত অবধি এই মানুষগুলার ভালোমন্দে নিজেকে শরীক রাখতেই ব্যস্ত থাকেন।

পাঁচ.
পঙ্কজ ভট্টাচার্য অকুতোভয় ও আশাবাদী একজন মানুষ। বিশ্বাস করেন সবকিছুরই শুরু আছে শেষও আছে। অনেক সচেতন মানুষও যখন সমাজে, রাজনীতিতে, পরিবারে শুধুই হতাশার নিকষ কালো অন্ধকার দেখতে পান পঙ্কজ ভট্টাচার্য তখনও দেখেন আশার আলো। তিনি বিশ্বাস করেন, সময়ের প্রয়োজনকে অস্বীকার করার কোনো উপায় থাকে না। সময়ের প্রয়োজনেই মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। জেগে ওঠে জনতা। ২০১৪ সালে যখন স্থবির রাজনৈতিক পরিবেশে আকস্মিক এক আলোক ঝলকানির মতো জ্বলে উঠলো ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ তখন দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। বললেন, সময়ের এই আবেদন প্রকৃতির প্রতিবাদের মতো। এটি কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। একইভাবে যখন দেশপ্রেমিক অর্থনীতিবিদ ও নীতি বিশ্লেষক ড. আবুল বারকাতের নিরলস গবেষণায় মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি, আদিবাসী সমাজের বঞ্চনা, ভূমি অধিকার আর সমাজের সবচেয়ে বড় শোষক ‘রেন্ট সিকার’ এর সমীকরণ উঠে আসে তখনও পঙ্কজ ভট্টাচার্য দারুণ আশান্বিত হন। বলেন, সত্যের শক্তি বড় সুতীব্র। তা একদিন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের হাতে ধরা দেবেই।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য একজন শক্তিমাণ লেখকও। ‘সাতনরী কথামালা’ ও ‘দুর্মুখের দরবার’সহ কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থও রয়েছে তার। তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিরন্তর লিখে চলেছেন।

আটাত্তর পেরিয়ে আজ ঊনআশি বছরে পা রাখলেন শুভ্র চুলের দীর্ঘকায় তরুণ পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তার জন্য অশেষ শুভকামনা।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)

পঙ্কজ ভট্টাচার্য