১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ভেসুল চলচ্চিত্র উৎসব। যে উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষার ছবি ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। উৎসবে যোগ দিতে এরইমধ্যে তিনি ফ্রান্সে অবস্থান করছেন।
শনিবার ছিলো উৎসবে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর প্রথম প্রদর্শনী। প্রথম শোতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও রবিবার এই ছবির দ্বিতীয় শোতে সশরীরে উপস্থিত হন নির্মাতা ফারুকী। ছবি শেষে দর্শকের সাথে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বটিও ছিলো। আর সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ‘ডুব’ এর এই নির্মাতা।
সোমবার বিকেলে ফারুকী লিখেন, ‘ভেসুলে গতকাল যেটা ঘটলো সেটা আমার জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা। আগের দিন ছিলো ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর প্রথম শো, যেটা আমি মিস করেছি। তো গতকাল দ্বিতীয় শো’য়ে ঢুকবো প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দেয়ার জন্য। দেখি তিনজন প্রবীণ মানুষ হলের দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। ভলেন্টিয়ার আমাকে এসে জানালো উনারা তিনজন কালকে আমার ফিল্ম দেখেছে। দেখে খুব মুভড হয়েছে। কিন্তু অন্য সব দর্শকদের মতোই আমাকে না পেয়ে মন খারাপ করেছে। কিন্তু পরে যখন জানতে পেরেছে আজকের প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি থাকবো, তখন তারা বহু দূর থেকে আজকের শোতে এসেছে শুধু মাত্র প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখার জন্য এবং আমাকে ভালবাসা জানানোর জন্য।’
তৃতীয় বিশ্বের একজন মানুষের অস্তিত্বহীনতার বেদনাই ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর প্রধান অনুসঙ্গ। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আছেন তাহসান, অস্ট্রেলিয়া থেকে মেগান মিশেল, ভারত থেকে ঈশা চোপড়া, বিক্রম কোচার এবং কিরণ খোজে।
ছবিতে সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি সহপ্রযোজক হিসেবে এ আর রহমান ছাড়াও প্রযোজক হিসেবে যুক্ত আছেন ফরিদুর রেজা সাগর, অঞ্জন চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও আমেরিকান প্রযোজক শ্রীহরি সাঠে। কো-প্রডিউসার হিসেবে আছে বঙ্গবিডি।
‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর চিত্রনাট্য একাধিক ফেস্টিভ্যালে ফান্ড জিতে নিয়েছে। এটি ২০১৪ সালে বুসান ফিল্ম ফেস্টিভালে এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে নির্বাচিত হয়। একই বছর নভেম্বরে ভারতের এনএফডিসি আয়োজিত ফিল্ম বাজারে শ্রেষ্ঠ প্রজেক্টের পুরস্কার লাভ করে এবং ডিসেম্বরে মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড-এর যৌথ উদ্যোগে দেয়া অ্যাপসা ফিল্ম ফান্ড লাভ করে। এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রটি বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, কায়রো চলচ্চিত্র উৎসব সহ বেশকিছু উৎসবে প্রদর্শীত ও প্রশংসিত হয়েছে।