নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্যাতনের শিকার নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ।
মো. খলিল উল্যাহ জানান: এখন প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। আজকের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে। ডাক্তারি পরীক্ষাকালে নির্যাতনের শিকার নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা আলামত পরীক্ষার জন্য গতকাল আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে; রুহুল আমিন, সোহেল, স্বপন, বাসু ও বেচু।
গত বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে: গত রোববার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে।
পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।