নির্বাচন পেছানোর খবর জানে না বিএনপি?

ইসিকে লেখা চিঠিতে ভোটের তারিখ ৩০ জানুয়ারি উল্লেখ করেছে দলটি

নানা সমালোচনা, আন্দোলন আর বহু বিতর্কের মুখে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে চারদিন আগে। কিন্তু সেই খবর যেন এখনো জানেই না বিএনপি। তাই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) লেখা আবেদনে ভোটের সেই পুরানো তারিখ ৩০ জানুয়ারিই উল্লেখ করেছে দলটি।

আজ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লেখা সেই চিঠিতে এমন বড় রকমের  ভুল করে বসে বিএনপি।

গত শনিবার সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে গত ২২ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

কিন্তু একই তারিখ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন তার প্রতিবাদ করে নির্বাচন পেছানোর দাবি তোলে।

কেননা পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আর ৩০ জানুয়ারি পঞ্চমীর আগে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যায় না।

তাছাড়া এই পূজা দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। আর ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হলে কয়েক দিন আগে থেকেই ভোটের কার্যক্রম শুরু হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

এমন অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। যদিও সেই রিট খারিজ করে দেন আদালত। তবে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ওই আইনজীবী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচন পেছাতে একাধিক দিন রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এরপর তারা আমরণ অনশন কর্মসূচিও পালন করে।

এমন প্রেক্ষাপটে ১৮ জানুয়ারি বিকালে দুই সিটির ভোটগ্রহণের নতুন দিন নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসে ইসি। সেই বৈঠক শেষেই সরস্বতী পূজার দিনে ভোটগ্রহণ না করার এই সিদ্ধান্তে আসে তারা।

ইসিনির্বাচনবিএনপিসিটি নির্বাচন