পছন্দের খাবারের তালিকায় এক নম্বরে ছিল ফাস্ট ফুড। শারীরিক গড়নের কারণে ঘনিষ্ঠজনরা আদর করে ডাকতেন ‘মোটকু’ বলে। সেই পিনাক ঘোষ নিজেকে বদলে ফেলেছেন মাত্র দুই মাসের চেষ্টায়। শর্করা জাতীয় খাবার বর্জন ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শরীর থেকে ওজন কমিয়েছেন ৯ কেজি। খেলোয়াড়ি জীবনে এই প্রথমবার ছিপছিপে শরীরে মাঠে দেখা গেল এই ক্রিকেটারকে।
খাবারের প্রতি দুর্বলতার কারণে অল্প বয়সেই মুটিয়ে গিয়েছিলেন পিনাক। দেশের হয়ে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা সম্ভাবনাময় এ ব্যাটসম্যান ওজন কমানোর মিশনে নামেন দুই মাস আগে। ফাস্ট ফুড তো বটেই ভাত, মাছ, মাংস, আলু, ডিম, তেল, ঘি, মাখন খাওয়া ছেড়ে ৯৩ কেজি থেকে ৮৪-তে নামিয়েছেন ওজন।
জাতীয় লিগ শুরুর আগে বুধবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে পিনাক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘নো কার্ব (শর্করা বর্জন) ফর্মুলা মেইনটেইন করছি। আর রানিং করা বাড়িয়েছি। ভালো ফল পাচ্ছি। চেষ্টাটা চালিয়ে যাব। দেখি ফিটনেসে আরও কতটা উন্নতি করতে পারি।’
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া জাতীয় লিগে পিনাক খেলবেন চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে। দলটিতে টপঅর্ডারে আছেন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকের মতো ব্যাটসম্যান। টিম কম্বিনেশনের কারণে ওপেনার পিনাককে দেখা যেতে পারে মিডলঅর্ডারে ব্যাট করতে।
ফিটনেস ভালো হওয়ায় নিজের ব্যাটিং নিয়ে পিনাকের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে অনেক। বললেন, ‘বল আসবে খেলব। এর বেশি কিছু ভাবছি না। সাহস নিয়ে খেলব। তামিম ভাই, মুমিনুল ভাইদের সঙ্গে ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে শেখার থাকবে অনেক।’
২০১৫ সালে সাউথ আফ্রিকা সফরে গিয়ে যুব ওয়ানডেতে ১৫০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আলোচনায় আসেন পিনাক। ডারবানের সেই ইনিংসটির পর হয়ে ওঠেন ক্রিকেটের চেনা মুখ। বয়সভিত্তিক দলের একই ব্যাচের মিরাজ-সাইফউদ্দিনরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেনা মুখ হয়ে উঠলেও কিছুটা আড়ালে পড়ে গেছেন পিনাক। জাতীয় লিগে ভালো করে ২০ বছরের এ তরুণ আসতে চান কক্ষপথে।