নারীর প্রতি অবমাননা ও সহিংসতার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহের প্রতিবাদ

নারীর প্রতি অবমাননা ও সহিংসতার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থী নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অবমাননা ও সহিংসতার প্রতিবাদে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে অধ্যাপক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ড. ফারজানা ইসলাম বাংলাদেশের প্রথম নারী উপাচার্য এবং তিনি একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। তার ছবি পোড়ানো মানে তাঁকে পোড়ানো।

অধ্যাপক সুমনা গুপ্তা বলেন, নারীর শাড়িতে আগুন দেয়া মানে নারীকে বড় হতে বাধা দেয়া, নারীর উন্নয়নে বাধা দেয়া। এতে নারীর আদর্শকে অবমাননা করা হয়েছে।

অধ্যাপক শ্বাশ্বতি মজুমদার বলেন, কুশপুত্তলিকা দাহ করা মানে অশুভ শক্তিকে দমন করা। কিন্তু বর্তমান ভিসি আশীর্বাদস্বরুপ। তাঁকে অশুভ শক্তির সাথে তুলনা করা অযৌক্তিক।

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক নারী শিক্ষক, কর্মকতা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

গত ২০ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে তার ছবি সংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনাকে ‘নারীর প্রতি অবমাননা ও সহিংসতা’ দাবি করে এর প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে দুপুরে নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘নারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুশপুত্তলিকা দাহমানববন্ধন