নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি দরকার: প্রধানমন্ত্রী

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের শুধু শিক্ষা দিলেই হবে না, তাই আমরা সরকারে এসে বিভিন্ন পদে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। প্রথমেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ নারীদের চাকরির সুযোগ করে দেই।  কারণ নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি দরকার। 

সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরাই প্রথম উপলব্ধি করেছি নারী শিক্ষার বাধ্যতামূলক করে দেয়া।  এখন নারীরা পার্লামেন্টেও সুযোগ পাচ্ছে।

‘আমরা নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য ২ কোটি ৩ লাখ বৃত্তি এবং উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি।  এছাড়া সারাদেশে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। সেখানে ট্রেনিং এর সুযোগ করে দিয়েছি। প্রত্যক জায়গায় আমরা মেয়েদের উৎসাহিত করছি। উদ্যোক্তা হিসেবে মেয়েদের সুবিধা দিচ্ছি।’

বিভিন্ন সেক্টরে মেয়েদের অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই মেয়েরা বিনিয়োগ সেক্টরে এগিয়ে আসুক।  এখন বাংলাদেশের সব জায়গায় মেয়ের অবস্থান রয়েছে। পার্লামেন্টে সব জায়গায় মেয়েদের অবস্থান। ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েরা ভালো করছেন। স্বর্ণ পেয়েছেন। এসএ গেমসে মেয়েরা স্বর্ণ জয় করেছে।

মেয়েদের জন্য সরকারের চালু করা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সময় মেয়েদের খেলার সুযোগ ছিল না দেশে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মেয়েদের জন্য এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্ট চালু করেছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। মেয়েরা এখন পড়াশোনায় খুব আগ্রহী। সমাজে এক ধরণের পরিবর্তন এসে গেছে। এরই মধ্যে আমরা একটা লিগ্যাল এইড ফান্ড করে দিয়েছি, যা দিয়ে মেয়েরা আইনী বিষয়ের সহযোগিতাও পাবে। আমরা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাশ করেছি। জনসচেতনা সৃষ্টি হচ্ছে। মেয়েদের মাতৃকালীন ছুটি ছয় মাস করে দিয়েছি। মাতৃকালীন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গার্মেন্টস কর্মজীবী মেয়েদের জন্য ডরমেটরি করে দিচ্ছি।

মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে ও আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের এক পর্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। পদক প্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- বেগম সেলিনা খালেক, অধ্যক্ষ শামসুন নাহার, ড. নুরুননাহার ফয়জননেসা (মরণোত্তর), পাপড়ি বসু এবং বেগম আখতার জাহান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবেগম রোকেয়া দিবস