নাটোরে রসুনের সাথে তরমুজের আবাদ

নাটোরে বিনা চাষে রসুনের সাথে তরমুজসহ অনান্য অন্তবর্তী ফসল চাষ করছেন
কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও পাওয়া গেছে ভালো। রসুনের পর তরমুজ বিক্রি
করে প্রায় সমপরিমাণ লাভের আশা কৃষকের।

নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় এখন চলছে রসুন তোলার মৌসুম। এবার বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে গড়ে ২৫ থেকে ৩৫ মণ। বিনা চাষে রসুন এই এলাকার অন্যতম লাভজনক ফসল। তবে কৃষকরা জানান, রসুন চাষে খরচটা বেশি। কিন্তু সেই অনুযায়ী তারা দাম পাচ্ছেন না।

তরমুজসহ ও সাথী ফসল চাষে সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহজে পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক সৌমেন সাহা বলেন, বোরো আমান ওঠার সাথে সাথে এই এলাকার কৃষকরা রসুনের কোয়া বুনে দেয়। তা থেকে প্রতি বিঘাতে ২৫-৩০ মণ রসুন হয়। এ থেকে কৃষকদের ৩৮-৪০ হাজার টাকা লাভ হয়।

জেলায় এবার প্রায় ২০ হাজার  হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দেড় লাখ মেট্রিক টন। যা জাতীয় চাহিদার এক তৃতীয়াংশ।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলহাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলায় এরই মধ্যে রসুন তোলার কাজ শুরু হয়েছে এবং রসুনের ভালো ফলনও পাওয়া যাচ্ছে। রসুনের চাহিদা আছে এবং এর বাজার মূল্যও বর্তমানে ভালো।

রসুন চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

তরমুজরসুন