নরসিংদীর পলাশের দক্ষিণ গালিমপুরে ঘুড়ি উড়ানোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমনের নেতৃত্বে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ১২টি ঘরসহ ১টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এসময় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুঠ করা হয়।
গতকাল রাতের এই ঘটনা দেখতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে গালিমপুর উত্তরপাড়ার একটি ক্ষেতে কয়েকজন তরুণ ঘুড়ি উড়াতে যায়। এসময় ঘুড়ি কাটাকাটি নিয়ে ওই তরুণদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার জের ধরে গতকাল রাতে গালিমপুর উত্তরপাড়ার আলেক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমনের নেতৃত্বে প্রায় ২শ লোকের একটি দল নিয়ে গালিমপুর দক্ষিণপাড়ার ১২টি ঘর ও ১টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় প্রতিটি ঘর থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়। এতে করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্কে আছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় সঠিক বিচার দাবী করেছেন তারা।
ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের-উল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এই হামলার সাথে যেই জড়িত থাকুক তার উপযুক্ত বিচার হবে। সে ছাত্রলীগের হোক আর যেই হোক। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যতটুকু সহযোগিতা করতে হয় আমি করবো।