নতুন মৃত্যুপুরী ব্রাজিল

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করে বলেছিল, করোনাভাইরাসের পরবর্তী ‘হটস্পট’ ব্রাজিল। সেই সতর্কতা এখন সত্যি হতে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৮১৬ জনের। যা এই সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি এবং ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে  ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি নতুন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠছে।

ব্রাজিলকে নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর বিশেষজ্ঞদের এমন উদ্বেগ; তখন করোনাভাইরাস ঠেকাতে পরিকল্পনা নিয়ে মতভেদের কারণে দায়িত্ব নেয়ার ১ মাসের মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইক। তার আগে আরেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইস হেনরিক মেনদেতা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের জড়িয়ে বরখাস্ত হন।

বিভিন্ন বিষয়ে পরিসংখ্যা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুয়ায়ী, গত এক সপ্তাহে (১০ মে) যেখানে একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ৪৬৭ জন, ১৬ মে তা দুই গুণ বেড়ে হয়েছে ৮১৬ জন।

যা গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বরাবরের মতোই এই সময়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে মারা গেছে ১ হাজার ২১৮জন।

ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪২ জন মানুষ। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৫ হাজার ৬৩৩ জন। আর সুস্থ হয়েছে ৮৯ হাজার ৬৭২ জন।

গত জানুয়ারি থেকে বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলেও শুরু থেকেই তা হালকা করে দেখছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো।

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন নেলসন টেইক।

আগের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সোক্লোরোকুইন ব্যবহারের আপত্তি জানালে প্রেসিডেন্টের সাথে তার বিরোধ শুরু হয়। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও এই ইস্যুতে বরখাস্ত হয়ে হয়েছিল।

 

করোনাভাইরাসবিশ্বব্যাপী করোনাব্রাজিল