রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
গতকাল গভীর রাতেই ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হয় ক্যাম্পাসে। এরপর সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে সকাল এগারোটায় মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এসময় ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড-ব্যানার প্রদর্শন করে তার।
এর কিছুক্ষণ পর ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
ধর্ষণের প্রতিবাদে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীদের অপর একটি অংশ।
অন্যদিকে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে সোমবার সকালে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের এক ছাত্র। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন আর কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে অনশন।’
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সাথে দেখা করতে যাওয়া সহপাঠী, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের জানিয়েছেন: রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে। এসময় তাকে মারধরও করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায়ই তাকে ধর্ষণ করা হয়।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে এক বান্ধবীর বাসায় যান। এরপর সহপাঠীরা তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।