ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিরুদ্ধে সরকার সতর্ক: প্রধানমন্ত্রী

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওড়না নিষিদ্ধের সত্যতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধে আঘাত করে এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার সবসময় সতর্ক রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙ্গা তার প্রশ্নে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। প্রতিষ্ঠানটির এমন পদক্ষেপে সরকারের পদক্ষেপ চান জাতীয় পার্টির (জাপা) এ সাংসদ।

রাঙ্গার এ দাবির সত্যতা নেই বলে এসময় সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সংক্রান্ত তথ্যে বিপরীতে তদন্তে শিক্ষামন্ত্রণায় সত্যতা পায়নি, এমনকি প্রতিষ্ঠানটির গভার্নিং বড়িও এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান তিনি।

বিরোধী দলের আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সরকারদলীয় নেতা বলেন: আমি মুক্তিযোদ্ধাদের বলবো যে, বর্তমান যুগের শিশু-কিশোর, যুবকদেরকে এই মুজিব বর্ষ উপলক্ষে যে যেখানে আছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, কাহিনী শোনান। যেভাবে তারা যুদ্ধ করেছেন সেই যুদ্ধের গল্প তাদের কাছে বলুন। তারাও যেন একটা দৃঢ়চেতা মনবল নিয়ে গড়ে উঠতে পারে। দেশকে ভালবাসতে পারে। দেশ গড়ে তুলতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: স্বাধীনতার পর পরই যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা পদক দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখনও মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট দিয়েছি। যার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার সার্টিফিকেট নিজে স্বাক্ষর করে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছি।

তিনি বলেন: দুর্ভাগ্য হলো পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সেগুলোকে বাতিল ঘোষণা করে। কিন্তু অনেকেই সেটা রেখেছিলেন, যেটা এখনও কাজে আসে।

শেখ হাসিনা বলেন: মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির জন্য তাদেরকে বিভিন্ন সম্মাননা পদক আমরা দিয়েছি এবং তাঁদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। অথচ ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর এমন দিনও এসেছিল যে, কেউ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতেই ভীত ছিল। এখন আর সেটা নেই। এখন গর্ব করে সবাই বলতে পারে যে, আমরা মুক্তিযোদ্ধা।

জাতীয় সংসদধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতপ্রধানমন্ত্রীপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা