ধর্মঘটে অচল ফ্রান্স

ফরাসি প্রেসিডেন্টের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে ফ্রান্স।

বৃহস্পতিবার এই ধর্মঘট ডেকেছে বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন।

বিবিসি বলছে, বছরের সর্ববৃহৎ ধর্মঘট শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। দেশব্যাপী ধর্মঘটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং দেশের সর্বত্র যাতায়াত ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সাধারণ এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে স্কুল, পরিবহন কর্মী, পুলিশ, আইনজীবী, হাসপাতাল ও বিমানবন্দরের কর্মীরাও।

বহু ইউনিয়ন হুমকি দিয়েছে, বৃহস্পতিবারের পরেও তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট তার সিদ্ধান্ত না বদলানো পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।

ফ্রান্সের বিমানবন্দরগুলি থেকে ইতিমধ্য়েই এক-পঞ্চমাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অচল হয়ে পড়বে বাস, মেট্রো ও শহরতলি, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল।

প্যারিসের ১৬টি মেট্রো লাইনের মধ্যে খোলা রয়েছে মাত্র পাঁচটি। কাজে যোগ দিচ্ছেন না অধিকাংশ কর্মচারী।

ফরাসি সংবাদপত্র লে ম্যান্ডে লিখেছে, পেনশন বিষয়ে সিদ্ধান্ত না বদলালে সামনের দিনগুলোতে প্রেসিডেন্টের জন্য হবে অগ্নীপরীক্ষা অপেক্ষা করছে।

বিবিসি বলছে, জনমত যাচাইয়ে দেখা গিয়েছে, ফ্রান্সের ৬৯ শতাংশ মানুষ এই ধর্মঘটকে সমর্থন করছেন। তাদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছরের নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি।

তবে অচলাবস্থা কাটাতে তৈরি হয়েছে প্রশাসন।  তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে।

ম্যাক্রোর পরিকল্পিত নতুন পেনশন স্কিমে আগেভাগে অবসর নেওয়ার অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলে অভিযোগ মেট্রো কর্মীদের। ফ্রান্সে মেট্রো কর্মীরা গড়ে ৫৫ বছরে এবং অন্যান্য পেশার কর্মীরা ৬৩ বছরে অবসর নিয়ে থাকেন।

নতুন পেনশন নিয়ম অনুযায়ী অনেক চাকরিতেই পেনশনের বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা থাকছে না। ৬৪ বছরের আগে যারা অবসর নেবেন তারা কম পেনশন পাবেন। যেমন: ৬৩ বছরে কেউ অবসর নিলে তিনি পাঁচ শতাংশ কম পেনশন পাবেন।

ধর্মঘটফ্রান্সম্যাক্রোঁ