দেশ বিক্রির কথা মনগড়া-অসত্য, কেউ চাইলে আরও তথ্য জানাবো: প্রধানমন্ত্রী

দেশের স্বার্থ বিরোধেী কোন চুক্তি আওয়ামী লীগ করবে না। দেশ বিক্রির কথা মনগড়া এবং অসত্য, কেউ চাইলে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংসদের মাধ্যমে জানাবেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তা চুক্তির বিষয়েও ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা আবারও জোর দিয়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বিকালে দশম জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি (মহিলা আসন-৩০) এমপির এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অধিবেশনের প্রথম ৩০ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্তরের জন্য নির্ধারিত ছিল।

সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে ২৪টি সমঝোতা এবং ১১টি চুক্তির মধ্যে অন্যতম সমঝোতা প্রতিরক্ষা স্মারক। এই স্মারক শুধু ভারতের সঙ্গেই নয় চীন, কুয়েত, রাশিয়ার সাথেও রয়েছে। চীনের সঙ্গে যে সামরিক সমঝোতা হয়েছিলো সেই তথ্য গোপন করেছিলো বিএনপি সরকার। অথচ তারাই এখন দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির কথা তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।আমরা সব জানিয়েছি, আরো বেশি কেউ জানতে চাইলে বিস্তারিত জানাবো।

ভারতের সঙ্গে সকল সমস্যার সমাধান হবে বন্ধুত্বের মাধ্যমে, উল্লেখ করে তিস্তাসহ সকল নদীর পানি বণ্টনে ভারত সরকারের আশ্বাসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে যেসব চুক্তি হয়েছে তা কেবলই জনগণের প্রয়োজনে এবং উন্নয়নের স্বার্থে।ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে বলেছেন তিস্তা চুক্তি আমাদের আমলেই হবে।আমরাও তিস্তা বিষয়ে তৎতপর।

ভারত সফরে অন্যান্য অর্জন সর্ম্পকে  প্রধানমন্ত্রী মহান সংসদকে জানান, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করলে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহমত পোষণ করেছেন। তিনি ১৯৭৫ সালের আমার পরিবারের  নিহত ১৬ জন  সদস্যর কথা শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করেছেন। শেখ মুজিবের নামে ভারতের পার্ক স্ট্রিটের নাম রাখা হয়েছে। খুলনা-কলকাতা বাস ও ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।প্রতি বছর ভারত সরকার ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা মূল্যে চিকিৎসার প্রদান কারার ঘোষণা দিয়েছে।মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিহত ১,৬৬১ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।এই সম্মাননা দিতে পারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য খুবই গর্বের বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অন্য আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৭১ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলন আয়োজনের পর ২০১৪ সালের নির্বাচন কিংবা বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। বিশ্বের কোন না কোন দেশ যখন জঙ্গী আক্রমণের শিকার হচ্ছে সেই সময় সফলভাবে আইপিইউ সম্মেলন করতে পারাকে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বের আস্থা তৈরি হয়েছে।এই আয়োজন সফলভাবে সম্পূর্ণকরতে পারা আমাদের জন্য গর্বের এবং বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। আইপিইউ নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্পিকারসহ আরেক সাংসদের থাকার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী বেশ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।

 

জাতীয় সংসদ অধিবেশনতিস্তা চুক্তি