আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আবারও ক্ষমতায় এলে প্রতিশ্রুত সব উন্নয়নের ঘোষণা দেন তিনি।
রোববার রংপুরের তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জে দুটি জনসভায় তিনি বলেন, দেশে আর মঙ্গা হবে না। এ ব্যাপারে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের অপশাসনের কথাও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য। আপনার ভালো থাকবেন। দু’বেলা পেট ভরে ভাত খাবেন। ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখবে। যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
‘‘তাদের আমরা ট্রেনিং দিয়ে দিচ্ছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ট্রেনিং দিয়ে দিচ্ছি যাতে তারা কাজ করে খেতে পারে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা মাত্র দুই পার্সেন্ট সার্ভিস চার্জে ঋণের সুযোগ করে দিয়েছি। কৃষকরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ভর্তুকির টাকা ব্যাংকে চলে যাচ্ছে।’’
তিনি যোগ করে বলেন: কৃষকদের উপকারভোগী কার্ড দিয়েছি। এই কার্ড দিয়ে স্বল্পমূল্যে কৃষি উপকরণ কিনতে পারে। সার-বীজ সব সহজলভ্য করে দিয়েছি। কৃষক যাতে তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পান তার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একটি বাড়ি একটি খামার করে দিয়েছি। কোনও দিন যাতে খাদ্য নিরাপত্তায় ঘাটতি না হয়, মঙ্গা না হয় সেজন্যই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প করে দিয়েছি।
প্রায় ১৬ বছর পর নির্বাচনী সভা করতে রংপুরের তারাগঞ্জে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই শীত সকালের আড়মোড়া ভেঙে, নির্বাচনী উত্তাপ আর উষ্ণতায় সকাল থেকেই উৎসবমুখর তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠ।
বিমানে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে নেমে সড়কপথে, দুপুর নাগাদ সভা মঞ্চে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানায় উপস্থিত জনতা। তাদের অভিবাদনের জবাব দিয়ে উন্নয়নের কথা বলেন অঞ্চলের পুত্রবধূ।
রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার জন্য ভোট চান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে টানা দুই মেয়াদে তার সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়া পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত জোটের ধ্বংসাত্মক রাজনীতিরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচন নিয়ে বিরোধী জোটের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দেশবাসীকে আহ্বানও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।