দেশের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, মানুষের দুর্ভোগ

দেশের বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত আছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও রয়েছে সীমাহীন।

কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ধরলার পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রায় অপরিবর্তিত থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।

দীর্ঘ বন্যায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট নিয়ে চরম কষ্টে দিন দিন পার করছে জেলার ৪ শতাধিক চরের প্রায় ৪ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ। ত্রাণ স্বল্পতায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। খাদ্যের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখির।

বন্যা দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ পানি বাহিত নানা রোগ।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জামালপুর
জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে উন্নতি হয়নি সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমে আজ সকালে বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ইতিমধ্যে একমাসের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ।বন্যায় ২৬৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৬৫৮টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিনষ্ট হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন বন্যার্তদের জন্য প্রতিদিন শুকনো খাবার ও ৮৮৪ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৬ লাখ টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

জামালপুরবন্যাবন্যা পরিস্থিতি