প্রতিবন্ধী ছেলেকে হত্যার পর ঋণগ্রস্ত বাবার আত্মহত্যা

রাজধানীর বড় মগবাজারের নয়াটোলায় একটি বাড়ি থেকে বাবা ও ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পেশায় সড়ক বিভাগের ঠিকাদার খায়রুল ইসলাম করোনা মহামারীতে বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য অনেক ঋণ হওয়ায় মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

বুধবার হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বাবা প্রথমে ছেলেকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজেও গলায় রশি বেঁধে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

জানা গেছে, রাজধানীর বড় মগবাজারের ১৮১/ডি নয়াটোলার বাসার পাঁচতলায় স্ত্রী নাজমুন নাহার নুপুর ও ১৪ বছর বয়সী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) সন্তান অরিনকে নিয়ে থাকতেন খায়রুল ইসলাম। 

স্ত্রী নাজমুন নাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খায়রুল তার স্ত্রীকে মাঝেমধ্যেই তিনজন একসঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলতেন। কিন্তু স্ত্রী নুপুর এসব পাত্তা দিতেন না। বুধবার সকাল ১১টার দিকে নুপুর বাজারের উদ্দেশ্যে বাইরে বের হন। দুপুর একটার দিকে তিনি বাসায় ফিরে দরজায় ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে দরজার সিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্বামী ও সন্তানকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে।

আত্মহত্যাকরোনাকরোনাভাইরাসহত্যা