দেখা মিলল ‘অলরাউন্ডার’ মাহমুদউল্লাহর

কাঁধের চোটে বিশ্বকাপে বল হাতে নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে কয়েক ওভার হাত ঘোরালেও স্বরূপে দেখা যায়নি। ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলছেন এ অলরাউন্ডার। অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে তার দেখা মিলল দুই ভূমিকাতেই সফল হতে।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর মাহমুদউল্লাহ দুই ইনিংসেই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। ম্যাচটি ড্র হলেও মাহমুদউল্লাহর বড় প্রাপ্তি বল হাতে সাফল্য।

প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভার বোলিং করে ৫৫ রানে নেন ৩ উইকেট। পরের ইনিংসে ১৩ ওভারে দেন ২৫ রান, নেন ৩ উইকেট। উভয় ইনিংসেই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ। দুইবারই তার শিকার হন উইকেটে থিতু হওয়া তামিম ইকবাল।

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ড্র ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে মাহমুদউল্লাহর হাতে। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় দল তারকা বললেন, ‘অনেকদিন পর জাতীয় লিগের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেলাম। সত্যি বলতে মাঝে আমার কাঁধের ইনজুরি ছিল, সাত মাসের মতো আমি বোলিং করতে পারিনি। তাই উদগ্রীব ছিলাম কিছু ওভার বল করতে। সেটা করতে পেরেছি।’

‘আমার বোলিং অনুশীলনটাও ভালো হল। কারণ, চাচ্ছিলাম যতোটা বেশি ওভার বল করা যায়। এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। বোলিং সবসময়ই করতে চাই। এটা আমাকে বাড়তি সুবিধা বা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয় আমার ব্যাটিংয়ে।’

ভারত সফরের আগে মাহমুদউল্লাহ অলরাউন্ডার রূপে ফিরলেও চট্টগ্রামের হয়ে খেলা বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি। তামিম প্রথম ইনিংসে ৩০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে আউট হন। বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হেলায় হারান এ ওপেনার। মুমিনুল হয়েছেন পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রথম ইনিংসে ১১, দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: চট্টগ্রাম বিভাগ-২৯০ ও ২২৭/৫, ঢাকা মেট্রো-৩৫৪

জাতীয় ক্রিকেট লিগ-২০১৯মাহমুদউল্লাহ রিয়াদলিড স্পোটর্সলিড স্পোর্টস