বার্সেলোনায় ফিরতে চেয়ে কত বড় ভুল করেছেন সেটাই যেন নেইমারকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন পিএসজি সমর্থকরা। মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নামলেন কিন্তু শুরু থেকেই শুনতে হল নিজ সমর্থকদের গালি থেকে শুরু করে নানা কটুকথা। তবে একবারের জন্য মুখ খুললেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। তখন যা জবাব, তা মাঠের খেলা দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন, পরে খুললেন মুখ।
গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময় বার্সায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়েছিলেন নেইমার। এতে যে নিজ দলের সমর্থকদের মনে ব্যথা লাগতে পারে সেদিকে তেমন পাত্তাই দেননি। তাকে নিয়ে পিএসজি-বার্সার দড়ি টানাটানিতে একটা পর্যায়ে তাকে নিয়ে বিষিয়ে গেল প্যারিস সমর্থকদের মন। চোখের মণি থেকে হয়ে গেলেন ক্লাবের জাতীয় শত্রু!
ঠিক এই কারণেই মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও নেইমারকে দলে রাখেননি পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। আগের মৌসুমে পাওয়া তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তো ছিলই সঙ্গে ক্লাবের বনিবনা না হওয়ায় দলের বাইরেই ছিলেন ২২২ মিলিয়ন ইউরো দামি ফুটবলার। এ যেন বিদ্রোহের শাস্তি!
বাইরে বসিয়ে রাখলেও এমবাপে-কাভানির চোট থাকায় স্ট্রসবুর্গের বিপক্ষে নেইমারকে নিতে বাধ্য হয়েছেন টুখেল। ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেই সবাই জেনে গেল নেইমার ফিরছেন। তাই ম্যাচের আগেই সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন পিএসজির কট্টর সমর্থকরা। ম্যাচ শুরু হতেই দলের সেরা তারকার দিকে ছুটে গেল সমালোচনা তীর। চললো দুয়োর বৃষ্টি।
মাঠে নীরবে সব হজম করেছেন নেইমার। জানতেন এমনটাই হবার ছিল। তাই মনঃপ্রাণ ঢেলে দিয়েছেন খেলার দিকে। খেলার শেষভাগে চোখজুড়ানো এক বাইসাইকেল কিকে গোল করে দলকে জেতালেন ম্যাচ।
দুয়ো শুনেও গোল করলেন, ম্যাচ জেতালেন। খেলা শেষে তাই মুখ খোলার অধিকার নেইমারের ছিলই। সেটাই করলেন, ‘সবাই জানে মাঠে কি হয়েছে। তারা যদি (সমর্থকরা) দুয়ো দিতে চায়, দিতে পারে। তাদের আমার কিছু বলার নেই। তারা দলকে সমর্থন দিতে আসে, সেটাই করে।’
‘পিএসজি অনেক বড় একটা দল। দলে ২৫ জন খেলোয়াড় আছে। একজনের জন্য সবাই দুয়ো শুনতে পারে না। পিএসজি সমর্থকদের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নাই। দুই বছর আগে যখন আমি পিএসজিতে আসি তারা আমাকে উৎসবের মাধ্যমে গ্রহণ করেছিল। সেই মুহূর্তটা আমি কখনো ভুলতে পারব না।’