দুর্বৃত্ত হামলায় ‘প্রায় বিচ্ছিন্ন’ কব্জি নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে গৃহবধূ

মহিউদ্দিন মুরাদ: লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্ত হামলায় গুরুতর আহত মা মরিয়ম বেগম ও তার সাত বছরের শিশু সন্তান রাজিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মরিয়মের দুই হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর দেওয়ান বাড়ীতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। চল্লিশ বছরের মরিয়মের স্বামীর নাম নবী উল্যাহ। তিনি প্রবাসী।

দুর্বৃত্তরা মরিয়মের দুই হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে পাশাপাশি তার শিশু সন্তানকেও কুপিয়ে জখম করে।

ঘটনার পর রাতেই স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় আহত মা মরিয়ম বেগম ও মেয়ে রাজিয়াকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মরিয়মের অবস্থা আশংকাজনক। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ষক্ষরণ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দরজা ভেঙ্গে মরিয়মের ঘরে হানা দেয় একদল দুর্বৃত্ত। তারা দা, ছেনী দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মরিয়ম ও তার সন্তানকে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার ড. কামরুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহেদ ও সোহেলসহ দুই জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে জাহিদ ওই নারী ও তার শিশু সন্তানকে কুপিয়ে জখম করেছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ মো. মিমছানুর রহমান বলেন, ‘আহতদের সাথে কথা বলতে পারলে, ঘটনার পেছনের কারণ পরিস্কার হবে।’

ঢাকাপ্রবাসীলক্ষ্মীপুরস্ত্রীহামলা